বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদন শুনতে অপারগতা জানিয়েছেন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চের একজন বিচারপতি।
এরপর বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন।
ওই মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আয়শার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণের পর গত বছরের ১৬ অক্টোবর জামিন চেয়ে তাঁর করা আবেদনটি আদালতে জমা দেওয়া হয়। আদালতে আয়শার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন ও এ এম জামিউল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি।
শুরুতে আয়শা মামলার প্রধান সাক্ষী ছিলেন। পরে তাঁকেও আসামি করে পুলিশ অভিযোগপত্র দেয়। রিফাত হত্যা মামলায় ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রায় দেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ। বিচারিক আদালতের রায়ে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে আয়শা সিদ্দিকাসহ ছয় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও জরিমানা করা হয়।
পরে সুজিত চ্যাটার্জি প্রথম আলোকে বলেন, বেঞ্চের একজন বিচারপতি আবেদনটি শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। এর আগে তিনি রাষ্ট্রপক্ষে আয়শার মামলা পরিচালনায় নিয়োজিত ছিলেন। অপারগতা প্রকাশ করার পর দ্বৈত বেঞ্চ জামিন আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।
এখন হাইকোর্টের এখতিয়ারসম্পন্ন অন্য বেঞ্চে এ আবেদন উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন এ এম জামিউল হক।
২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজ এলাকায় দিনদুপুরে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন তাঁরই পরিচিত একদল তরুণ। হাসপাতালে নেওয়ার পর রিফাত মারা যান। আয়শা তাঁর স্ত্রী।
শুরুতে আয়শা মামলার প্রধান সাক্ষী ছিলেন। পরে তাঁকেও আসামি করে পুলিশ অভিযোগপত্র দেয়। রিফাত হত্যা মামলায় ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রায় দেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ। বিচারিক আদালতের রায়ে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে আয়শা সিদ্দিকাসহ ছয় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও জরিমানা করা হয়।
রায়ের পর আসামিদের ডেথ রেফারেন্সের (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) জন্য বিচারিক আদালতের রায়সহ নথিপত্র ২০২০ সালের ৪ অক্টোবর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৌঁছায়। অন্যদিকে দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে মিন্নিসহ ছয় আসামি ওই বছরই পৃথক আপিল করেন।
২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে তিন আসামির, ৪ নভেম্বর আয়শাসহ অপর দুজনের ও ২২ নভেম্বর এক আসামির আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি তাঁদের জরিমানা স্থগিত করা হয়।