সেরা রাঁধুনীর খোঁজে শুরু হলো নিবন্ধন

স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের সুপরিচিত ব্র্যান্ড রাঁধুনীর নিয়মিত আয়োজন ‘সেরা রাঁধুনী’র সপ্তম আসরের নিবন্ধন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে সংবাদ সম্মেলন করে অতিথিরা এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

দেশের আনাচকানাচে ছড়িয়ে থাকা হরেক পদের রান্নায় পারদর্শী রাঁধুনিদের খুঁজে বের করতে স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের সুপরিচিত ব্র্যান্ড রাঁধুনীর নিয়মিত আয়োজন ‘সেরা রাঁধুনী’ আসছে নতুন আসর নিয়ে। ‘রান্নার জগতে হয়ে উঠুন উজ্জ্বল তারকা’ স্লোগানে শুরু হয়ে গেছে সপ্তম আসর ‘সেরা রাঁধুনী ১৪২৯’-এর নিবন্ধন।

এবারের আয়োজনেও থাকছে নতুনত্ব এবং উপভোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস। এসবের ইঙ্গিত দিয়েই মঙ্গলবার ঢাকার হোটেল সোনারগাঁওয়ের বলরুমে সংবাদ সম্মেলন করে এবারের আয়োজন উদ্বোধন করেন স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা পারভেজ সাইফুল ইসলাম, বিপণন বিভাগের প্রধান ইমতিয়াজ ফিরোজ এবং মিডিয়াকম লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাছরাঙা টেলিভিশনের নির্বাহী পরিচালক অজয় কুমার কুন্ডু।

১৮ বছরের বেশি বয়সী যেকোনো বাংলাদেশি নারী-পুরুষ এতে অংশ নিতে পারবেন। এবারের ‘সেরা রাঁধুনী’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হলে প্রতিযোগীকে নিজস্ব রেসিপি, খাবারের ছবি, নিজের ছবি ও অন্যান্য তথ্য দিয়ে সেরা রাঁধুনীর নিজস্ব ওয়েবসাইট www.sheraradhuni.com -এ কিংবা সরাসরি ডাকযোগে বা কুরিয়ারে এসএফবিএল টাওয়ার, রোড-২৭, ১১/সি, বনানী, ঢাকা-১২১৩—এই ঠিকানায় পাঠিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিন বিজ্ঞ বিচারক শেফ শুভব্রত মৈত্র, রন্ধন বিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা রীতা, অভিনয়শিল্পী দিলারা হানিফ পূর্ণিমাসহ স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড, মিডিয়াকম লিমিটেড, মাছরাঙা টেলিভিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, এ প্রতিযোগিতার নিবন্ধন ২০ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ২০ অক্টোবর ২০২২ পর্যন্ত চলবে। ১৮ বছরের বেশি বয়সী যেকোনো বাংলাদেশি নারী-পুরুষ এতে অংশ নিতে পারবেন। এবারের ‘সেরা রাঁধুনী’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হলে প্রতিযোগীকে নিজস্ব রেসিপি (ওয়ার্ড ফাইল বা স্পষ্টাক্ষরে হাতে লেখা রেসিপির ছবি), খাবারের ছবি, প্রতিযোগীর ছবি ও অন্যান্য তথ্য দিয়ে সেরা রাঁধুনীর নিজস্ব ওয়েবসাইট www.sheraradhuni.com -এ কিংবা সরাসরি ডাকযোগে বা কুরিয়ারে এসএফবিএল টাওয়ার, রোড-২৭, ১১/সি, বনানী, ঢাকা-১২১৩—এই ঠিকানায় পাঠিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।

এ ছাড়া ০৯৬১২১১১৩৩৩–এই হটলাইন নম্বরে রবি থেকে বৃহস্পতিবার প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ফোন করে যেকোনো তথ্য জানা যাবে।

সেরা রাঁধুনী ১৪২৯-এর পুরো আয়োজনটির সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধানে থাকছে মিডিয়াকম লিমিটেড এবং সম্প্রচারের দায়িত্বে রয়েছে মাছরাঙা টেলিভিশন। হসপিটালিটি পার্টনার রাঙামাটি ওয়াটারফ্রন্ট রিসোর্ট।

প্রথমে স্বাগত বক্তব্যে পারভেজ সাইফুল ইসলাম এবারের প্রতিযোগিতা ও অনুষ্ঠান পরিকল্পনায় বরাবরের মতোই চমক থাকার আভাস দেন। তিন বিচারক তাঁদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এবারের সেরা রাঁধুনী নির্বাচনের জন্য কোন কোন বিষয় তাঁরা বিবেচনা করছেন। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করেন ইমতিয়াজ ফিরোজ।

বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, সেরা রাঁধুনী’ বাছাইয়ের জন্য পুরো বাংলাদেশকে আটটি আলাদা অঞ্চলে ভাগ করে অনুষ্ঠিত হবে অডিশন পর্ব। এরপর আরেকটি প্রতিযোগিতার পর স্টুডিও পর্বে জন্য নির্বাচিত প্রতিযোগীদের বেছে নেওয়া হবে। স্টুডিও পর্বে প্রতিযোগিতার নানা ধাপে প্রতিযোগীদের ভিন্ন ভিন্ন ঘরানার রান্নায় পারদর্শিতা যাচাইয়ের পাশাপাশি রান্না পরিবেশনা, নিজেকে উপস্থাপন, বাচনভঙ্গি, ব্যক্তিত্ব, বিক্রয় দক্ষতা, নেতৃত্বগুণ, খাবারের ব্যবসা চালানোর ক্ষমতা, বিভিন্ন পরিস্থিতি সামলানোর ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক বুদ্ধি ও দক্ষতা প্রয়োগের ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে নির্বাচিত হবেন সেরা রাঁধুনী ১৪২৯। পুরস্কার হিসেবে তিনি জিতে নেবেন ১৫ লাখ টাকা। প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপ পাবেন যথাক্রমে ১০ লাখ এবং ৫ লাখ টাকা।

অংশগ্রহণের নিয়মাবলি: অংশগ্রহণের জন্য নিজস্ব রান্নার রেসিপি, খাবারের ছবি, নিজের ছবি এবং প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করুন। প্রয়োজনীয় তথ্য: নাম, বয়স, ঠিকানা, পেশা, মোবাইল নম্বর, ই–মেইল, জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধনপত্র/পাসপোর্ট নম্বর, এর আগে কখনো সেরা রাঁধুনীতে অংশগ্রহণ করেছেন কি না, করলে সাল এবং অর্জিত অবস্থান উল্লেখ করতে হবে। অংশগ্রহণকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশি হতে হবে। সেরা রাঁধুনী ১৪২৭-এর স্টুডিও পর্বে অংশ নেওয়া প্রতিযোগীরা সেরা রাঁধুনী ১৪২৯-এ নিবন্ধন করতে পারবেন না।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলি: বিচারকদের রায়ে রেসিপি নির্বাচিত হলে প্রতিযোগীকে বিভাগীয় অডিশনে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে। অডিশনের জন্য নির্বাচিত রেসিপির খাবার অডিশনের দিন তৈরি করে নিয়ে আসতে হবে। এ ছাড়া তৈরি করা খাবার যাচাইয়ের ও মৌখিক পরীক্ষায় কৃতকার্য হলে ঢাকায় অনুষ্ঠিত গ্র্যান্ড অডিশনের জন্য প্রতিযোগীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।