ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ১৭ আসামির হদিস পায়নি পুলিশ

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একরামুল হক হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ১৭ আসামির হদিস পায়নি পুলিশ। অন্যদিকে ফাঁসির আদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করলেও শুনানি এখনো কার্যতালিকায় আসেনি। আটকে রয়েছে ডেথ রেফারেন্সের (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন) শুনানিও। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার, কারাগারে থাকা ২২ আসামিসহ ৩৯ জনের ফাঁসির আদেশ যাতে দ্রুত কার্যকর হয়, সেই দাবি পরিবারের। আজ সোমবার একরামুল হক হত্যাকাণ্ডের ১০ বছর পূর্ণ হচ্ছে।

ফেনী জেলা জজকোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হাফেজ আহাম্মদ জানান, মামলার এজাহার, অভিযোগপত্র, জব্দ তালিকা, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন, সাক্ষীদের জবানবন্দি, জেরা ও নিম্ন আদালতের রায় পর্যায়ক্রমে পেপারবুকে সাজানো থাকে। পেপারবুক প্রস্তুত না হওয়ায় আসামিদের আপিলের শুনানি শুরু হয়নি। কখন শুনানি শুরু হবে, তা–ও বলা যাচ্ছে না।

আসামিপক্ষের আইনজীবী এম শাহজাহান সাজু বলেন, তাঁরা আসামিদের পক্ষে উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন। কিন্তু এখনো শুনানির তারিখ হয়নি। আদালত সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ২০ মে ফেনী শহরের জি এ একাডেমি এলাকায় প্রকাশ্যে গাড়ির গতিরোধ করে কুপিয়ে, গুলি করে গাড়িসহ পুড়িয়ে হত্যা করা হয় একরামকে। ঘটনার দিন রাতেই তাঁর ভাই রেজাউল হক বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ৩০ আগস্ট ৫৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

২০১৮ সালের ১৩ মার্চ ফেনী জেলা ও দায়রা জজ এই মামলার রায় দেন। আদেশে জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির, ফেনী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবদুল্লাহিল মাহমুদ, ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন যুগ্ম সম্পাদক জাহিদ চৌধুরীসহ ৩৯ জনের ফাঁসির আদেশ দেন। ১৬ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে সোহেল নামের এক আসামি রায় ঘোষণার আগেই র‍্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যান। ৩৯ আসামির মধ্যে ২২ জন কারাগারে। বাকি ১৭ জন পলাতক।

জানতে চাইলে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, একরাম হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক ৩ থেকে ৪ জন আসামির সাজা পরোয়ানা ফেনী মডেল থানায় রয়েছে। বাকি পলাতক আসামিদের পরোয়ানাগুলো তাদের স্থায়ী ঠিকানার সংশ্লিষ্ট থানায় রয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।