জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ের শুনানি পিছিয়েছে। আগামী ৮ নভেম্বর শুনানির নতুন তারিখ ঠিক করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান এই আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী জাহিদুল ইসলাম।
আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এই মামলায় সম্রাট আজ আদালতে হাজির হন। তাঁর আইনজীবী অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য সময় চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত আদেশ দেন। একই সঙ্গে সম্রাটের জামিনের মেয়াদ ৮ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছেন আদালত।
দুদকের করা এই মামলায় গত ২২ আগস্ট একই আদালত থেকে জামিন পেয়ে কারামুক্ত হন সম্রাট। তার আগে সম্রাট তাঁর বিরুদ্ধে থাকা আরও তিনটি মামলায় জামিন পান। এগুলো হলো—মাদক, অর্থ পাচার ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা।
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
মামলাটি তদন্ত করে গত বছরের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। অভিযোগপত্রে সম্রাটের বিরুদ্ধে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। আর ২১৯ কোটি ৪৮ লাখ ৫৮ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। এ টাকা তিনি পাচার করেছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। দুদকের অভিযোগপত্র গত ২২ মার্চ আমলে নেন আদালত।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তাঁর সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
তখন র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারের সময় সম্রাট ও আরমান মদ্যপ ছিলেন। তাঁদের কাছে বিদেশি মদ ছিল। এ কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁদের ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।
গ্রেপ্তারের পর সম্রাট ও আরমানকে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আনা হয়। ঢাকায় আনার পর সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালায় র্যাব। সম্রাটের কার্যালয়ে বন্য প্রাণীর চামড়া, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র পাওয়ার কথা জানানো হয়। বন্য প্রাণীর চামড়া রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।