জি কে শামীমসহ আটজনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলার রায় ২৫ জুন

জি কে শামীম
ফাইল ছবি

প্রভাবশালী ঠিকাদার জি কে শামীমসহ আটজনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের (মানি লন্ডারিং) অভিযোগে করা মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়েছে। ২৫ জুন মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মো. নজরুল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার এ তারিখ ধার্য করেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী সরকারি কৌঁসুলি আজাদ রহমান।

রাজধানীর গুলশান থানার এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ২৩ সাক্ষীকে আদালতে হাজির করে।

২০২০ সালের ১০ নভেম্বর শামীমসহ আটজনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অপর সাত আসামি হলেন শামীমের দেহরক্ষী দেলোয়ার হোসেন, মুরাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম। আট আসামিই কারাগারে আছেন।

২০২০ সালের ৮ আগস্ট এ মামলায় শামীমসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

অভিযোগপত্রের তথ্যানুযায়ী, দেশের ১৮০টি ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৩৩৭ কোটি টাকার স্থায়ী আমানত রয়েছে শামীমের। এ ছাড়া ঢাকায় দুটি বাড়িসহ প্রায় ৫২ কাঠা জমির মালিক তিনি। এসবের দাম ৪১ কোটি টাকা। শামীম তাঁর অস্ত্রধারী সাত দেহরক্ষীকে দিয়ে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টেন্ডারবাজি, বাস টার্মিনাল ও গরুর হাটে চাঁদাবাজি করে এসব সম্পদ অর্জন করেছেন।

মামলার তদন্তভার পাওয়া সিআইডির কর্মকর্তা আবু সাঈদের ভাষ্য, শামীমের স্থায়ী আমানত ৩৩৬ কোটি ৩০ লাখ ৫১ হাজার ৪০৬ টাকার ওপর আদালতের স্থিতাদেশ রয়েছে। গ্রেপ্তারের সময় তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ১ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা, ৯ হাজার মার্কিন ডলার ও ৭৫২ সিঙ্গাপুরি মুদ্রা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকায় দুটি বাড়িসহ তাঁর ৫১ দশমিক ৮৩ কাঠা স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে। এগুলোর দলিলমূল্য ৪০ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার ২০০ টাকা।

২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশানের নিজ কার্যালয় থেকে সাত দেহরক্ষীসহ শামীম গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তারের আগে শামীম কখনো নিজেকে যুবলীগের সমবায়বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিতেন। আবার কখনো পরিচয় দিতেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হিসেবে। চলতেন সামনে-পেছনে সাতজন সশস্ত্র দেহরক্ষী নিয়ে।

শামীমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। এর মধ্যে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর শামীম ও তাঁর সাত দেহরক্ষীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।