আওয়ামী লীগ সরকার আবারও একটি প্রহসনের একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের অপচেষ্টা করছে বলে মনে করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। সংগঠনটি ঘোষিত নির্বাচনী তফসিলকে একটি একতরফা নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ হিসেবে দেখছে।
আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সাদা দল এসব কথা বলেছে। বিবৃতিতে সংগঠনের আহ্বায়ক মো. লুৎফর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান ও আবদুস সালাম স্বাক্ষর করেছেন।
বিবৃতিতে সংগঠনটি নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণা করে ‘একতরফা’ নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের ভাষ্য, বিগত দেড় দশকে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকার দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ও নির্বাচনব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। মানবাধিকার ও সুশাসন আজ সুদূর পরাহত।
বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে দেশের মানুষ বুঝতে পেরেছে, এই সরকারের অধীন কোনো সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষ্মীপুরের দুটি উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের প্রকাশ্যে ভোট জালিয়াতির ঘটনায় এটি আবারও প্রমাণিত হয়েছে।
বিএনপি ও বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের কারারুদ্ধ করে ফাঁকা মাঠে একতরফা নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সরকার কম্বোডিয়ান স্টাইলে একটি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকতে চাইছে। আমরা আওয়ামী সরকারের এ ধরনের হীন রাজনৈতিক অপকৌশলের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। রাজনৈতিক সমঝোতার পথ পরিহার করে তফসিল ঘোষণা এবং একতরফা নির্বাচন আয়োজনে সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে, সেটি দেশের রাজনৈতিক সংকটকে আরও ঘনীভূত করবে এবং এতে দেশে নৈরাজ্য আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাবে। এ অবস্থা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
বিএনপিপন্থী শিক্ষকেরা আরও বলেছেন, বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক নাজুক। আবারও একটি বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ কেবল সংঘাতময়ই হবে না; বরং দেশ দীর্ঘস্থায়ী সংকটের আবর্তে নিপতিত হতে পারে। তাই দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ঘোষিত তফসিল বাতিল করে রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে একটি দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচনের জোর দাবি জানান তাঁরা।