পরীমনির ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ বাতিল চায় রাষ্ট্রপক্ষ

পরীমনি
ফাইল ছবি

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনির ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফের আদেশ বাতিল চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। আজ রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এ এই আবেদন করেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আজাদ রহমান।

আজ আদালতে মামলার শুনানি চলাকালে এ আবেদন করা হয়। এ বিষয়ে এপিপি আজাদ রহমান প্রথম আলোকে বলেন, পরীমনির মামলায় ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফের যে আদেশ আদালত দিয়েছিলেন, তা বাতিল চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। আগামী ২৮ আগস্ট এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এদিকে শুনানিতে পরীমনি আদালতে হাজির না হওয়ার বিষয়ে তাঁর আইনজীবীর কাছে ব্যাখ্যা চান আদালত। এ নিয়ে পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত প্রথম আলোকে বলেন, এই মামলায় পরীমনির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। সে বিষয়ে আংশিক শুনানি হয়েছে। বিষয়টি জানানোর পর একপর্যায়ে পরীমনি ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফের আদেশ বাতিলের আবেদনের বিষয়ে জানতে চান আদালত।

নীলাঞ্জনা রিফাত বলেন, আদালত হাজিরা মওকুফের আদেশ বাতিল আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরীমনি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। পরে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার অনুমতি চাওয়া হয়। আদালত অনুমতি দেন। এ পর্যায়ে আদালত বলেন, ‘পরীমনির এখন আদালতে আসতে অসুবিধা কোথায়? তিনি মিডিয়ার মানুষ, তাতে কী? অনেক ভিআইপি ব্যক্তিত্ব নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন।’

২০২১ সালের ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাব। পরে বনানী থানায় করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই মামলার দুই মাসের মাথায় ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অভিযোগপত্রে ১৯ জনকে সাক্ষী করা হয়। পরে গত বছরের ৫ জানুয়ারি পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, পরীমনির বাসা থেকে মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। তবে সেগুলোর বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমনির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালের ৩০ জুন ওই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়। মামলার অপর দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে পরীমনি বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় মজুত রেখেছিলেন।