অবৈধভাবে ধান মজুত, তিন মাসের কারাদণ্ড

নয়ানগর এলাকায় সাদিকুল ইসলামের গুদামে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, ০৭ সেপ্টেম্বর
ছবি: প্রথম আলো

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের একটি গুদামে অবৈধভাবে ধান মজুতের সংবাদ পেয়ে প্রশাসনের তরফ থেকে আজ সোমবার অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে খবরের সত্যতা পেয়ে  ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে গুদাম ও ধানের মালিক সাদিকুল ইসলামকে (৫৮) ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। দণ্ডিত সাদিকুল ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার বেলেপুকুর মহল্লার মৃত কসিমুদ্দিনের ছেলে।

উপজেলার নয়ানগর এলাকায় এই অভিযান চলে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রবিন মিয়া জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খাদ্য অধিদপ্তরের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে আজ দুপুর ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত নয়ানগর এলাকায় সাদিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির গুদামে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দেখা যায়, সেখানে ১০ হাজার বস্তায় ৭০০ মেট্রিক টন ধান গুদামজাত করা হয়েছে। এ সময় গুদাম ও ধানের মালিক সাদিকুল ইসলাম ট্রেড লাইসেন্স, খাদ্য অধিদপ্তরের মজুত লাইসেন্স ও মার্কেটিং অফিসের কোনো লাইসেন্স দেখাতে পারেননি।

যথোপযুক্ত কাগজপত্র না থাকা ও অবৈধভাবে ধান মজুতের অপরাধে সাদিকুল ইসলামকে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে মজুত করা এসব ধান খোলাবাজারে বিক্রির আদেশ দেওয়া হয়। জরিমানার অর্থ আজকের মধ্যেই পরিশোধের কথা রয়েছে।

অভিযানে আরও অংশ নেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাকিউল ইসলাম, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার উপপরিচালক মুর্শেদ আলম, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অন্তরা মল্লিক, জেলা মার্কেটিং অফিসার নুরুল ইসলাম ও জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জহিরুল ইসলাম।