অভিযানে ‘আটক’ চালকেরা জেল-জরিমানার বদলে পেলেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার

লকডাউনে যানবাহন বের করা চালকদের মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উখিয়া উপজেলা পরিষদের মাঠে খাদ্যসহায়তা বিতরণ করা হয়।
ছবি: প্রথম আলো

লকডাউনে বিধিনিষেধ ভেঙে সড়কে বের হওয়ায় ৪০টি অটোরিকশা ও ইজিবাইক জব্দ করে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা প্রশাসন। তবে চালকদের জেল-জরিমানার পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের খাদ্যসামগ্রী দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই খাদ্যসহায়তা পেয়েছেন জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৩৩৩-এ সহায়তা চাওয়া আরও ১৫ জন।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উখিয়া উপজেলা পরিষদ মাঠে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা বিতরণ করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। এ সময় সঙ্গে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিজাম উদ্দিন আহমেদ, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, আজ সারা দিন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে লকডাউনের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে কিছু যানবাহন সড়কে পাওয়া যায়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। তবে এ ভ্রাম্যমাণ আদালতে যানবাহনগুলো জব্দ করা হলেও কোনো জেল-জরিমানা করা হয়নি। বরং ওই চালকদের প্রত্যেককে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ১ কেজি তেল, ১ কেজি লবণ, ১ কেজি চিনি ও ১ কেজি ছোলার একটি বস্তা তুলে দেওয়া হয়। এ সময় চালকেরা লকডাউনে গাড়ি বের না করার অঙ্গীকার করেন।

সহায়তা পাওয়া ইজিবাইক চালক হামিদ হোসেন ও অটোরিকশাচালক আবদুস সবুর বলেন, ঘরে খাবারদাবার ছিল না। সংসারের প্রয়োজন মেটাতে রাস্তায় এসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের হাতে ধরা পড়েন। সারা দিন ভয়ে ছিলেন, কিন্তু সে রকম কিছু হয়নি। গাড়িগুলো আটকে রাখলেও খাদ্যসামগ্রীর বস্তা দিয়েছে।

ইউএনও নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ মেনে চলার জন্য সর্বসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি তা বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও থানা-পুলিশের সমন্বয়ে ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে এ অভিযানে কাউকে কোনো ধরনের জেল-জরিমানা করা হয়নি।

জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, সরকার কঠোর লকডাউন দিয়েছে সবার নিরাপত্তার জন্য। সরকারি এ নির্দেশনা সবার মেনে চলা উচিত। এ জন্য সরকার জাতীয় জরুরি সেবা চালু করেছে। প্রতিদিন এই সেবার মাধ্যমে খাদ্যসামগ্রী ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।