রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ জহুরুল ইসলাম আবারও নেতাদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আজ বুধবার বিকেলে রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভা বাজারে তিনি মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বারের মতো সংবাদ সম্মেলন করলেন।
এর আগে গত সোমবার বিকেলে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎসহ দুর্নীতির অভিযোগ এনে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন।
কোষাধ্যক্ষের এই অভিযোগের পর গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এক জরুরি সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পাল্টা দুর্নীতির অভিযোগ এনে তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেন মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের বাকি নেতারা।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, কোষাধ্যক্ষ জহুরুল ইসলাম ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ ছাড়া তিনি নতুন সদস্যদের কাছ থেকে ২৭টি ডি-ফরমের প্রতিটির মূল্য ২০ হাজার করে মোট ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা জিম্মায় রেখেছেন। এই টাকার হিসাব চাইলেও তিনি দিচ্ছেন না। মূলত এগুলো আড়াল করতে জহুরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলন করে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে তাঁকে সংগঠনের সদস্যপদ ও কোষাধ্যক্ষ পদ থেকে চিরতরে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। আগামী সভায় তাঁর বহিষ্কার কার্যকর হবে এবং সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
এ ব্যাপারে জহুরুল ইসলাম আজ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাঁদের অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করায় অন্যায়ভাবে সাধারণ সম্পাদক একক ক্ষমতাবলে তাঁকে বহিষ্কার করেছেন। এভাবে চাইলেই বহিষ্কার করা যায় না। তিনি শ্রমিকদের স্বার্থ নিয়ে কথা বলেছেন। শ্রমিকেরাই একদিন এর জবাব দেবেন। দুর্নীতির কথা বলে তাঁর জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। তিনি এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলেও দাবি করেন। শিগগিরই এ ব্যাপারে থানায় সাধারণ ডায়েরি করবেন বলে জানান তিনি।