অসুস্থ আত্মীয়কে দেখে বাড়ি ফেরা হলো না তাঁদের

চট্টগ্রাম থেকে একটি মাইক্রোবাস কক্সবাজার যাচ্ছিল। পথে মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসের তিন যাত্রী নিহত ও চারজন আহত হন। গতকাল শনিবার রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ার পদুয়া ইউপি কার্যালয়ের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন কক্সবাজারের উখিয়ার হাজিরপাড়া এলাকার মৃত মো. ইব্রাহিমের ছেলে মো. শাহ আলম ওরফে জেকব (৪১), একই এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আয়াজ (৪০) ও নুরুল কবিরের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩৫)।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে মাইক্রোবাসটি চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে এসে কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছিল। দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে মাইক্রোবাসটি মহাসড়কের পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয়ের সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাককে পেছনের দিকে জোরে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই শাহ আলম নামের মাইক্রোবাসের একজন যাত্রী নিহত ও ছয়জন আহত হন।

সড়ক দুর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে প্রথমে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মোহাম্মদ আয়াজ ও জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যু হয়।

উখিয়ার রাজাপালং ইউপির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, নিহত তিনজনই নিকট আত্মীয়। তাঁরা সকলে চট্টগ্রাম নগরে অসুস্থ এক স্বজনকে দেখতে গিয়েছিলেন। ওই অসুস্থ স্বজনকে দেখার পর গতকাল রাতে মাইক্রোবাসে করে বাড়িতে ফেরার পথে তাঁদের মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে তিনজন মারা গেছেন।

দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রব প্রথম আলোকে বলেন, যাত্রী নিয়ে একটি মাইক্রোবাস কক্সবাজারের দিকে যাওয়ার পথে একটি ট্রাককে ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিদের লাশ তাঁদের স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। মাইক্রোবাসের চালক ও সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকটি নিয়ে এর চালক পালিয়ে গেছেন। দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাসটি জব্দ করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।