অ্যাম্বুলেন্স চালক ও ছাত্রলীগের ভিন্ন ব্যাখ্যা

অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির সংবাদ সম্মেলন।
ছবি: প্রথম আলো

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স চালকদের ওপর ছাত্রলীগসহ দুর্বৃত্তদের হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ময়মনসিংহ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতি। আজ শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে অ্যাম্বুলেন্স মালিকদের এই সংগঠন।

সংবাদ সম্মেলনে মালিক সমিতির নেতারা অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রলীগের কথা না শোনায় গত মঙ্গলবার পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্সের চাবি ছিনিয়ে নেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অ্যাম্বুলেন্স চালকদের কাছে চাঁদা দাবি করেছিলেন। চাঁদা না দেওয়ায় দীর্ঘক্ষণ অ্যাম্বুলেন্স চলাচল বন্ধ করে রাখেন তাঁরা। লাশ ও রোগী বহনের জন্য কাউকে চাঁদা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা করবেন না জানান চালক ও মালিকেরা। অ্যাম্বুলেন্স চালকদের হয়রানি বন্ধের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তাঁরা।

সংবাদ সম্মেলনে ময়মনসিংহ অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির সভাপতি সেলিম সারোয়ার, সহসভাপতি জামাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ সোহেল প্রমুখ বক্তব্য দেন।

গত মঙ্গলবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে চাঁদার দাবিতে অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ চিকিৎসক আফতাব উদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে জানিয়েছেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ চিত্তরঞ্জন দেবনাথ।

এদিকে অ্যাম্বুলেন্স অচলাবস্থার ঘটনার পরদিন বুধবার বিকেলে মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে চিকিৎসক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবিতে এবং উত্ত্যক্তকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেন মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ ও ইন্টার্ন চিকিৎসা পরিষদের শিক্ষার্থীরা।

অ্যাম্বুলেন্স চালকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হাসান বলেন, হাসপাতাল চত্বরে কতিপয় বখাটে অ্যাম্বুলেন্স চালক ও চালকের সহযোগী নারী চিকিৎসকদের ইভ টিজিং করেছিলেন। এই ঘটনায় চালকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হলেও তাঁরা সেটিতে সাড়া না দিয়ে পুনরায় নারী চিকিৎসক ও ইন্টার্ন শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করেন। এরপর ছাত্রলীগের সদস্যরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। এর জের ধরেই অ্যাম্বুলেন্স চালকেরা অহেতুক সেবা বন্ধ করে রোগী ও লাশ পরিবহনে অচলাবস্থা তৈরি করেছিলেন বলে উল্টো অভিযোগ করেন তিনি।