আইটি পার্ক স্থানান্তরের প্রতিবাদে ঘাটাইলে প্রতীকী অনশন

আইটি পার্ক ঘাটাইল থেকে মধুপুরে স্থানান্তরের প্রতিবাদে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন। আজ সোমবার প্রস্তাবিত আইটি পার্কের জমি গৌরিশ্বর এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার পরিবর্তে মধুপুরে স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে প্রতীক অনশন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার রক্ষা কমিটির উদ্যোগে আজ সোমবার উপজেলার গৌরীশ্বর গ্রামে প্রস্তাবিত আইটি পার্কের নামে বরাদ্দকৃত জমিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত প্রতীকী অনশন চলাকালে প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন সন্ধানপুর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম। বক্তব্য দেন ঘাটাইলে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার রক্ষা কমিটির সদস্যসচিব আতিকুর রহমান, দেওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন, দিগড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল কাদের খান, আজমত আলী প্রমুখ।

কমিটির সদস্যসচিব আতিকুর রহমান বলেন, একনেকের সভায় অর্থ ছাড় দেওয়া হয়েছে ঘাটাইলের পার্শ্ববর্তী উপজেলা মধুপুরের নামে। শুরু থেকেই এর প্রতিবাদ করে আসছেন ঘাটাইলবাসী। প্রতিবাদ জানিয়ে এরই মধ্যে করা হয়েছে সংবাদ সম্মেলন। ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে করা হয় মানববন্ধন। সব শ্রেণি–পেশার হাজার হাজার মানুষ তাঁদের প্রাণের দাবিতে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী এই পার্ক ঘাটাইল থেকে মধুপুরে নিয়ে যাচ্ছেন।

বক্তারা প্রস্তাবিত ও দলিল সম্পাদিত নির্ধারিত স্থানেই শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের দাবি জানান। অনশন চলাকালে গণসংগীত পরিবেশন করেন উপজেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা। দুপুরে পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার।

২০১৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইটেক পার্কের অনুকূলে ১২ একর ৭৭ শতাংশ জমি বিনা মূল্যে বরাদ্দ প্রদানের জন্য ঘাটাইল উপজেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চিঠি দেয় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। ২০১৮ সালের ৩ নভেম্বর ঘাটাইলে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া যায়। ২০১৯ সালের ২৫ জুন গৌরীশ্বর মৌজার ১ নম্বর খাস খতিয়ানে অকৃষি ১২ দশমিক ৭৭ একর জমি টাঙ্গাইল জেলায় আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার বা হাইটেক পার্ক বা আইটি ভিলেজ বা সফটওয়্যার টেকনিক্যাল পার্ক স্থাপনের জন্য নির্বাচন করা হয়। ভূমি মন্ত্রণালয় প্রতীকী মূল্য এক লাখ এক হাজার টাকা নির্ধারণ করে। সেই টাকা ওই বছর ২৯ ডিসেম্বর ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়।

২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক দীর্ঘমেয়াদি লিজ দলিল সম্পাদন ও রেজিস্ট্রির মাধ্যমে ওই জমি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর হস্তান্তর করেন।