আখাউড়া পৌর ও উপজেলা যুবদলের কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় যুবদলের কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন উপজেলা যুবদলের পদবঞ্চিত নেতা–কর্মীরা। আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার তারাগন মাঠে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে আগামী সাত দিনের মধ্যে এ কমিটি বাতিলের আলটিমেটাম দেওয়া হয়।
এদিকে সংবাদ সম্মেলন শেষে ঝাড়ুমিছিল এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কথিত সহকারী আবদুর রহমান ও তাঁর বড় ভাই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কবির আহাম্মদ ভূঁইয়ার কুশপুত্তলিকা পোড়ান পদবঞ্চিত নেতা–কর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক পদপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, তারেক রহমানের কথিত সহকারী আবদুর রহমানের বড় ভাই কবির আহাম্মদ ভূঁইয়ার প্রত্যক্ষ ইঙ্গিতে আখাউড়া উপজেলা ও পৌর যুবদলের একপেশে কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ১২ জুন যে দুটি কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে দলের জন্য কাজ করা ত্যাগী নেতা–কর্মীদের রাখা হয়নি।
লিখিত বক্তব্যে জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, ‘গত বছরের ২৪ আগস্ট কেন্দ্রীয় যুবদলের নেতারা আমাদের ঢাকায় ডেকে নিয়ে সাক্ষাৎকার নেন। দুঃখের বিষয়, আমাদের সবাইকে বাদ দিয়ে শুধু কবির আহাম্মদের অনুসারীদের সংযুক্ত করে উপজেলা যুবদল ও পৌর যুবদলের দুটি একপেশে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর আলম দাবি করেন, কবির আহাম্মদ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগদান করেননি। তিনি গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে কসবা-আখাউড়া নির্বাচনী এলাকায় প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। তখন থেকে তিনি ওই এলাকার বিএনপিতে নিজস্ব বলয় সৃষ্টি করে দলকে বিভক্ত করেছেন।
কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে আখাউড়া বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। আগামী সাত দিনের মধ্যে এসব কমিটি বাতিল না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম আহবায়ক-২ পদপ্রার্থী মামুন মিয়া, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক প্রার্থী আহসান, সদস্যসচিব প্রার্থী আস-সাদিক ভূঁইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক প্রার্থী এম এ ফোরকানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সংবাদ সম্মেলন শেষে পদবঞ্চিত নেতা–কর্মীরা হাতে ঝাড়ু নিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। ঝাড়ুমিছিল শেষে আবদুর রহমান ও কবির আহাম্মদের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লার মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মাহমুদ প্রথম আলোকে জানান, স্বচ্ছতার সঙ্গেই আরও তিন মাস আগেই কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে এ দুটি কমিটি জমা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটি যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে ওই দুই কমিটির অনুমোদন দিয়েছে। এখানে কেউ কোনো প্রভাব বিস্তার করেনি। এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা।
ইয়াসিন মাহমুদ বলেন, ‘আজকের সংবাদ সম্মেলনটি ফেসবুকে একটি ভিডিওতে দেখেছি। সেখানে থাকা মোবাশ্বের, মামুনসহ অনেককেই ছাত্রদলে থাকা অবস্থায় দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তাঁরা কেউই আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন না।’