আখাউড়ায় ছাত্রলীগের ঘোষণা করা দুই কমিটি স্থগিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মানচিত্র

গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের দেওয়া দুটি কমিটি স্থগিত করে দিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটি। স্থগিত কমিটি দুটি হলো আখাউড়া পৌর কমিটি ও আখাউড়া সরকারি কলেজ কমিটি। আজ সোমবার জেলা ছাত্রলীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, কমিটি দুটি জেলার এখতিয়ারভুক্ত। এটা জেনেও এ দুটি কমিটি ঘোষণা করার অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আখাউড়া পৌর কমিটি ও আখাউড়া সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা তাঁদের দায়িত্ব। প্রথম শ্রেণির পৌরসভা ও সরকারি কলেজ কমিটি দেওয়ার এখতিয়ার উপজেলা কমিটির নেই। এ দুটি কমিটি উপজেলা সমমর্যাদার। উপজেলা ছাত্রলীগ জেলা ছাত্রলীগকে ডিঙিয়ে কমিটি গঠন করে ঘোষণা করেছে। তারা গঠনতন্ত্রবহির্ভূত কমিটি ঘোষণা করেছে। তাই দুটি কমিটির কার্যক্রম স্থগিতসহ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

জেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অসাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়ে কেন আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, এ মর্মে তাঁদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাঁদেরকে সশরীর উপস্থিত হয়ে জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাবউদ্দিন বেগ ও সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন এক বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার উপজেলার ধরখার, মনিয়নন্দ, উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়ন এবং পৌর ও আখাউড়া সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। আহ্বায়ক কমিটিকে আগামী তিন মাসের মধ্যে নির্বাচিত কমিটি ঘোষণা করতে বলা হয়। ছাত্রলীগকে গতিশীল করার লক্ষ্যে এসব আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

পৌর ছাত্রলীগের কমিটিতে নাইমুর রহমান, কলেজ শাখা কমিটিতে আবু বক্কর, উত্তর ইউনিয়ন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটিতে মোস্তাক ভূঁইয়া, দক্ষিণ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটিতে নাঈম হাসান, মনিয়নন্দে মশিউর রহমান ও ধরখার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটিতে শাফায়েত রবিনকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। এসব কমিটির পরিধি ২৫ থেকে ৫১ সদস্যবিশিষ্ট।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাবউদ্দিন বেগ প্রথম আলোকে বলেন, ‘পৌর ও কলেজ কমিটি গঠনের বিষয়টি জেলার এখতিয়ারভুক্তির বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। আমরা কারণ দর্শানোর জবাব দিয়েছি।’