আখাউড়ায় স্ত্রীকে পেট্রলে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক

আখাউড়ায় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিজ স্ত্রীকে পেট্রল দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে
প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় কাজল ভূঁইয়া নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিজ স্ত্রীকে পেট্রল দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডলি বেগম (৪০) নামের ওই গৃহবধূ মারা যান। এর আগে গত শুক্রবার (ঈদের দিন) সকালে তাঁর গায়ে পেট্রল দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত কাজল ভূঁইয়া আখাউড়া উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের আনোয়ারপুরের বাসিন্দা। এ ঘটনার পর থেকে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন।

ডলি বেগমের ভাই বিল্লাল হোসেন আজ সন্ধ্যায় অভিযোগ দেওয়ার জন্য থানায় যান। এ সময় তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আখাউড়া সীমান্তবর্তী এলাকা আনোয়ারপুরের কাজল ভূঁইয়ার সঙ্গে আমার বোনের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। এর মধ্যে এক মেয়ের বিয়ে হয়েছে। সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বোন-ভগ্নিপতির মধ্যে প্রায়ই মনোমালিন্য হতো। ঈদুল ফিতরের আগের দিন রাতেও সাংসারিক বিষয় নিয়ে বোনের সঙ্গে ভগ্নিপতি কাজলের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এরই জেরে ঈদের দিন সকালে কাজল আমার বোনকে মারধর করে। একপর্যায়ে তার ভাতিজা রামিমকে মোটরসাইকেল থেকে পেট্রল আনতে বলে। রামিম বোতলে পেট্রল এনে দিলে কাজল আমার চোখের সামনে আমার বোনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে তখন আমি চিৎকার-চেঁচামেচি করলেও কেউ আমার বোনকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি। আমি আমার বোনের হত্যার বিচার চাই।’

অভিযুক্ত কাজল ভূঁইয়া একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি। তাঁর বিরুদ্ধে ১০টির বেশি মামলা রয়েছে। আখাউড়া থানার অন্তত সাতটি মামলা আদালতে বিচারাধীন।
মিজানুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), আখাউড়া থানা

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘ডলি নামের এক নারী অগ্নিদগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় মারা গেছেন বলে জানতে পেরেছি। সেখানে ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। তাঁর স্বজনেরা রয়েছেন। নিহত ডলির ভাই বিল্লাল আজ সন্ধ্যায় থানায় এসেছেন। তাঁর কাছ থেকে বিস্তারিত ঘটনা শুনছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ওসি মিজানুর রহমান আরও বলেন, অভিযুক্ত কাজল ভূঁইয়া একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি। তাঁর বিরুদ্ধে ১০টির বেশি মামলা রয়েছে। আখাউড়া থানার অন্তত সাতটি মামলা আদালতে বিচারাধীন। অন্যান্য থানায় তাঁর বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকতে পারে।