আখাউড়ায় ২০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ৫০ শতক জমি উদ্ধার

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার আজমপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় অভিযান চালিয়ে রেলওয়ের জায়গায় থাকা ২০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৫০ শতক জমি উদ্ধার করা হয়। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার আজমপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

রেলওয়ের ঢাকার বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সফি উল্লাহ অভিযানে নেতৃত্ব দেন। অভিযানের সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল্লাহ আল-বাকিসহ আখাউড়া থানা-পুলিশ, জিআরপি ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, আখাউড়া-সিলেট রেলপথের আখাউড়া রেল অঞ্চলের আজমপুর স্টেশনে রেলওয়ের জমি আছে। স্টেশন এলাকায় একশ্রেণির লোক দীর্ঘদিন ধরে রেলওয়ের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে পাকা-আধা পাকা ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। রেলওয়ে স্টেশনসহ আশপাশে চলমান বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে এসব অবৈধ স্থাপনা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট লোকজন তাঁদের অনেকবার জায়গা ছেড়ে দিতে বললেও তাঁরা জায়গা ছেড়ে দেননি। অবশেষে সোমবার অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযানে অন্তত ২০টি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার আজমপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সফি উল্লাহ বলেন, রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অবৈধ স্থাপনা নিজ নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নেওয়ার জন্য বারবার নোটিশ দেওয়াসহ মাইকিং করা হয়। কিন্তু কেউই অবৈধ দখল সরিয়ে নেননি। তাই সেখানে অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, স্টেশন এলাকায় রাস্তার দুই পাশে অবৈধভাবে অনেক দোকানপাট গড়ে উঠেছিল। এতে রেলওয়ের অনেক জায়গা বেদখল হয়ে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল। অভিযানে পাকা, আধা পাকা, দোকানপাটসহ ২০টি স্থাপনা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৫০ শতক জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে।