আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরলেন আরও ৪৬ জন

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের অনুমতিপত্র নিয়ে আটকা পড়া যাত্রীরা যাতায়াত করছেন
ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি ও ভারতীয় নাগরিকদের যাতায়াত অব্যাহত রয়েছে। আজ শুক্রবার স্থলবন্দর দিয়ে ৪৬ জন বাংলাদেশে ফিরেছেন। একই সময় ভারতে গেছেন ২ জন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্থান সংকুলান না হওয়ায় আজ ভারত থেকে ফেরা ৩৪ জনকে কুমিল্লায় কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।

স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত চার দিনে স্থলবন্দর দিয়ে আসা ২০৬ বাংলাদেশিকে কুমিল্লায় কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। গত ২৬ মার্চ থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ২৬ দিনে দুই দেশের ৯৩৭ জন বাংলাদেশে ফিরেছেন। একই সময়ে ভারতে গেছেন ২৪০ জন।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩৪৩ জন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত ফেরা ৪৬ জনের মধ্যে বাংলাদেশে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে ১২ জনকে জেলার প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এবং ৩৪ জনকে কুমিল্লায় কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার আসা ৩৬ জন, গত বুধবার আরও ৬৩ জন, গত বৃহস্পতিবার ৭৪ জন এবং সর্বশেষ শুক্রবার আরও ৩৪ বাংলাদেশিকে কুমিল্লায় পাঠানো হয়।

১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন পূর্ণ করায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সর্বমোট ২২৮ জনকে কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। দুই দেশে আটকা পড়া যাত্রীরা উভয় দেশে নিযুক্ত হাইকমিশনারের অনুমতি এবং দুই দেশের সরকারের কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করে যাতায়াত করছেন।

জানা গেছে, ভারত থেকে ফেরত বাংলাদেশি নাগরিকদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাতটি আবাসিক হোটেল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল, বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন এবং জেলার বেসরকারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়। জেলায় জায়গার সংকুলান না হওয়ায় স্থলবন্দর দিয়ে আসা যাত্রীদের কুমিল্লায় কোয়ারেন্টিন করা হচ্ছে।

আখাউড়া ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ আবদুল হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, শুক্রবার ৪৬ জন বাংলাদেশে এবং ২ জন ভারতে ফিরেছেন।

আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর-এ আলম প্রথম আলোকে বলেন, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাতটি আবাসিক হোটেলসহ নয়টি প্রতিষ্ঠানে কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। জেলায় বর্তমানে আর কোনো আবাসিক হোটেল নেই। তাই স্থলবন্দর দিয়ে নতুন করে আসা যাত্রীদের কোয়ারেন্টিনে রাখার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে কুমিল্লায় পাঠানো হচ্ছে। শুক্রবার আসা যাত্রীদের মধ্যে ৩৪ জন কুমিল্লায় এবং বাকি ১২ জনকে জেলার বিভিন্ন হোটেলে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।