আগুনে শেষ সম্বল পুড়ে ছাই হলো আলম মিয়ার

দরিদ্র কৃষক আলম মিয়ার বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শুক্রবার সকালে নেত্রকোনার মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাগজান গ্রামে
ছবি: সংগৃহীত

নেত্রকোনার মদন উপজেলায় আগুনে দরিদ্র কৃষক আলম মিয়ার (৩৮) শেষ সম্বল বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ঘটনায় তাঁর প্রতিবেশী দুই কৃষক সুরুজ্জামান ও উল্লাদ মিয়ার বসতঘর ও গোয়ালঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাগজান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও মদন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আলম মিয়া তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে গত বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বেড়াতে যান। প্রতিবেশী সুরুজ্জামানের পরিবারের সদস্যরা সিলেটে বেড়াতে যান। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে স্থানীয় লোকজন হঠাৎ আলম মিয়ার বসতঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন জ্বলে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে সুরুজ্জামান ও উল্লাদ মিয়ার বসতঘরে আগুন ধরে যায়। এলাকার লোকজন প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে আলম মিয়ার ঘরসহ আসবাব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
খবর পেয়ে রাতেই মদন ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মদন ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা আহমেদুল কবির বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনে তিন পরিবারের প্রায় আট লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আলম মিয়া বলেন, ‘কষ্টে জমানো কিছু ট্যাহা ও ধারদেনা করে কয়েক মাস আগে নতুন টিনের ঘরটা করছিলাম। আগুনে আমার সব শ্যাষ করে দিছে। বউ-বাচ্চা নিয়া এহন কই থাকমু, কী খামু কিছুই ভাবতে পারতাছি না।’

তিয়শ্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখর উদ্দিন আহমেদ বলেন, অগ্নিকাণ্ডে তিনটি পরিবারের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা অপূরণীয়। তাঁদের মধ্যে হতদরিদ্র আলম মিয়া সর্বস্বান্ত হয়ে গেছেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত তিন কৃষককে দুই হাজার টাকা করে দিয়েছেন। সরকারি সাহায্যের জন্য ইউএনওর সঙ্গে কথা বলেছেন।

মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) বুলবুল আহমেদ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে দুই বান্ডেল টিন ও নগদ ছয় হাজার করে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে সরকারের সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা তারা পাবে।