আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আইভী ও তৈমুরকে ইসির শোকজ

মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী ও তৈমুর আলম খন্দকার
ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁদের শোকজ নোটিশ দেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার।

সেলিনা হায়াৎ আইভীকে করা শোকজে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী, প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে পারবেন না। আপনি মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে বিজয় সমাবেশের নামে সরকারদলীয় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও জাতীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, মৃণাল কান্তি দাস, মির্জা আজমসহ অন্যান্য নেতা সরাসরি মেয়র পদে ভোট প্রার্থনা করেছেন বলে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার অভিযোগ দাখিল করেছেন। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সিটি নির্বাচন বিধিমালা–২০১৬ লঙ্ঘনে অনধিক ৬ মাসের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়াসহ ৩২ বিধি অনুসারে কমিশন কর্তৃক প্রার্থিতা বাতিলের বিধান রয়েছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে দাখিলের জন্য অনুরোধ করা হলো।’

এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলমকেও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে শোকজ করা হয়েছে। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে প্রচার-প্রচারণা চালানো যাবে না মর্মে নির্বাচনী বিধিমালায় উল্লেখ আছে। আপনি মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে মিছিল, সমাবেশ, পথসভা, ভোট প্রার্থনাসহ মসজিদ, মন্দির, গির্জা, বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখছেন এবং ভোট প্রার্থনা করছেন মর্মে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সিটি নির্বাচন বিধিমালা–২০১৬ লঙ্ঘনে অনধিক ৬ মাসের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়াসহ ৩২ বিধি অনুসারে কমিশন কর্তৃক প্রার্থিতা বাতিলের বিধান রয়েছে।

আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে দাখিলের জন্য অনুরোধ করা হলো।’

মাহফুজা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, দুই মেয়র প্রার্থীকে শোকজ করা হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁদের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।