‘আর কত দিন পর সেই সেতু পাব, কে জানে’

১৪ নম্বর ওয়ার্ডের নাওজোড়-কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়কে সেতু না থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসী।

গাজীপুর জেলার মানচিত্র

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নাওজোড়-কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়কে সেতু না থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসী। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শিল্পকারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক ও শিক্ষার্থী চলাচল করে। তিন কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে এক কিলোমিটার পায়ে হেঁটে ও বাঁশের সাঁকো পার হয়ে স্থানীয় ব্যক্তিদের নাওজোড় থেকে কাশিমপুরে যেতে হয়।

আঞ্চলিক সড়কটি সিটি করপোরেশনের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে। বাঁশের সাঁকোটি ওয়ার্ডের ইসলামপুর এলাকার ডংকা বিলের ওপর। সেতু না থাকায় এ পথে যানবাহন চলতে পারে না। ফলে ওয়ার্ডের নাওজোড় থেকে স্থানীয় ব্যক্তিদের কাশিমপুরে যেতে প্রতিদিন সময় লাগে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা। বর্ষা মৌসুমে সাঁকোর অংশে নৌকা দিয়ে পার হতে হয়। আশপাশে শিল্পকারখানা গড়ে উঠলেও সড়কটিতে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।

ওয়ার্ডের বাসিন্দা হরুন অর রশিদকে প্রতিদিন ব্যবসার কাজে কাশিমপুর বাজারে যেতে হয়। তিনি বলেন, ‘শুনেছি সিটি করপোরেশন হলে সব রকমের নাগরিক সুবিধা পাওয়া যায়, কিন্তু আমাদের সিটি করপোরেশনের বয়স প্রায় আট বছর হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত একটি সেতুই পেলাম না। আর কত দিন পর সেই সেতু পাব, কে জানে।’

গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকা থেকে পাঁচ থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে ইসলামপুর এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইসলামপুর এলাকায় অনেক আগে একটি সেতু ছিল, যা এখন ভেঙে গেছে। সে স্থান এখন ভাঙা ব্রিজের খেয়াঘাট হিসেবে পরিচিত। ওই ঘাটের দুই পাশে ইসলামপুর, নাওজোড়, কড্ডা; কাশিমপুরের বারেন্ডা, এনায়েতপুরসহ ১০টি এলাকা। বর্তমানে এসব এলাকার বাসিন্দা বাঁশের সাঁকো দিয়ে ডংকা বিল পাড়ি দেয়।

ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা ও মুদির ব্যবসায়ী খন্দকার আসলাম হোসেন বলেন, নাওজোড় থেকে ভাঙা ব্রিজ পর্যন্ত সড়ক প্রশস্ত করা করা হলেও, সেতু ও এর পরের দেড় থেকে দুই কিলোমিটার এলাকার রাস্তার কাজ হয়নি। এ কারণে স্থানীয় ব্যক্তিরা বাঁশের সাঁকো তৈরি করে চলাচল করছেন।

গত বুধবার সাঁকোর পাশে দাঁড়িয়ে কথা হয় একটি কারখানার অপারেটর মোসলেম উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, কাশিমপুর থেকে কোনাবাড়ী হয়ে গাজীপুর যাতায়াত করা যায়, কিন্তু সময় বেশি লাগে। ইসলামপুর হয়ে গাজীপুর গেলে কম সময়ে যাওয়া যায়। কিন্তু এখানে একটাই সমস্যা, কাঁচা রাস্তা ও ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের তৈরি সাঁকো।

নাওজোড় এলাকার বাসিন্দা ও অটোরিকশাচালক কবির হোসেন বলেন, ভোটের আগে কাউন্সিলর ও মেয়র সবাই কথা দিয়েছিলেন সেতু ও রাস্তা করে দেবেন। কিন্তু সিটি করপোরেশনের বয়স ৮ বছর হয়ে গেলেও সে কথা কেউ রাখেননি।

১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোয়েব আল আসাদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি। আর সিটি করপোরেশনের (অঞ্চল-৬) নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফ হোসেন বলেন, ৮ মার্চ একনেকের বৈঠক হওয়ার কথা। সেখানে রাস্তা ও সেতু নির্মাণ-সংক্রান্ত প্রকল্পের অনুমোদন হলে কাজ করা হবে।