আ.লীগের প্রার্থীর তিনটি কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর, আহত ৫

ইউপি নির্বাচন
প্রতীকী ছবি

পাবনার বেড়া পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগের প্রার্থীর তিনটি নির্বাচনী কার্যালয়ে আজ বুধবার রাতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। ওই হামলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পাঁচ কর্মী আহত হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র আবদুল বাতেনের কর্মী-সমর্থকেরা এ হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আবদুল বাতেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আসিফ শামসের আপন চাচা। এ ঘটনায় রাত পৌনে ১১টা পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি।  

দলীয় সূত্র জানায়, ২৮ নভেম্বর বেড়া পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এস এম আসিফ শামস, বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান মেয়র আবদুল বাতেন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এ এইচ এম ফজলুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা ও সোনালী ব্যাংক বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি কে এম আবদুল্লাহ ও এস এম সাদিয়া আলম। তাঁদের মধ্যে তিনজন পাবনা-১ আসনের সাংসদ শামসুল হক টুকুর স্বজন। এর মধ্যে আসিফ শামস সাংসদ শামসুল হকের ছেলে, আবদুল বাতেন ছোট ভাই ও এস এম সাদিয়া আলম ভাতিজি।

এলাকাবাসী জানান, নির্বাচনের প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকেই ভাতিজা এস এম আসিফ শামস ও চাচা আবদুল বাতেনের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এর আগেও উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ সন্ধ্যার পর দুই পক্ষই মিছিল ও গণসংযোগে অংশ নেওয়ার সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে হাতিগাড়া, পায়না ও মোহনগঞ্জ মহল্লায় আওয়ামী লীগের প্রচার কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আসিফ শামস বলেন, ‘আবদুল বাতেনের সরাসরি নির্দেশে তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী আমার তিনটি প্রচার কার্যালয় ভাঙচুর করেছে। তারা আমার কর্মীদের মারধর করে আহত করেছে। এমনকি আমার কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে নারী সমর্থকদের আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। আমি ব্যস্ত থাকায় বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দিতে পারিনি।’

আওয়ামী লীগের প্রার্থীর তিনটি নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করার অভিযোগের বিষয়ে আবদুল বাতেন বলেন, ‘প্রচার কার্যালয় ভাঙচুরের বিষয়টি পুরোপুরি সাজানো। আমি আগে থেকেই এ ব্যাপারে বলে আসছিলাম যে তারা (নৌকা প্রতীকের প্রার্থী) এ ধরনের কাজ করে আমাদের ওপর দোষ চাপাবে। প্রতিপক্ষের প্রার্থী ও তার সমর্থকদের মামলা দিয়ে ঘরে রাখার বিষয়টি তাদের পুরোনো কৌশল। তারা যে অভিযোগগুলো করছে, তা শুধু মিথ্যাই নয়, পুরোপুরি অবিশ্বাস্য।’

এ বিষয়ে বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, ‘ভাঙচুরের খবর পেয়ে আমরা সরেজমিনে ঘুরে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। তবে এখনো এ ব্যাপারে থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’