আ.লীগের প্রার্থীসহ ৪ প্রার্থীর বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ

মেহেরপুর জেলার মানচিত্র

মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীসহ চার প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মেহেদি হাসান। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ইউপি নির্বাচন আচরণ বিধিমালা-২০১৬-এর বিধি ১২ ও ২১ লঙ্ঘনের দায়ে তাঁদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। ১৫ জুন উপজেলার চার ইউপিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বারাদি ইউপির নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী মোমিনুল ইসলামকে তিনটির বেশি নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করায় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তিনি নির্বাচনী আচরণবিধির বিধি ১২ লঙ্ঘন করেছেন। এ জন্য কারণ দর্শানোর পাশাপাশি তিনটি নির্বাচনী ক্যাম্প রেখে বাকিগুলো বন্ধের নির্দেশনাও দেওয়া হয়।

এদিকে একই ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী তালা প্রতীকের স্বাধীন শেখ, মোরগ প্রতীকের মোর্শেদ কুলি ও ফুটবল প্রতীকের রিপন আলীর বিরুদ্ধে একে অপরের বিরুদ্ধে উচ্চশব্দে একাধিক শব্দযন্ত্র ব্যবহারের কারণে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা আচরণবিধির বিধি ২১ লঙ্ঘন করেছেন।

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ওই চার প্রার্থীর সন্তোষজনক জবাব দাখিল করতে হবে। অন্যথায় প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণ লঙ্ঘনের দায়ে শাস্তি প্রয়োগ করা হবে।

ইউপি সদস্য প্রার্থী মোরগ প্রতীকের মোর্শেদ কুলি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্বাচন–সংক্রান্ত বিধিনিষেধ আমার জানা ছিল না। সে কারণে একটি প্রচারের ভ্যানগাড়িতে দুটি করে মাইক ব্যবহার করেছিলাম। নোটিশ পাওয়ার পর নিজের ভুল বুঝতে পেরে নির্বাচন কমিশনে ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেছি।’

রিটার্নিং কর্মকর্তা মেহেদি হাসান প্রথম আলোকে বলেন, মেহেরপুর সদর উপজেলার নবগঠিত বারাদি ইউনিয়নের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কারণ দর্শনার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশের পাওয়ার পর অভিযুক্ত প্রার্থীরা ভুল বুঝতে পেরে ভবিষ্যতে আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে না—এমন শর্তে ক্ষমা চেয়েছেন। তাঁদের অনেকেই নির্বাচনী বিধিবিধান সম্পর্কে জানেন না।