আশাশুনিতে বুকে বাঁশ ঢুকে প্রাণ গেল এএসআইয়ের

আশাশুনি সদর থানার এএসআই শাহ জামাল।
ছবি: সংগৃহীত

বাঁশবোঝাই একটি ট্রাক সড়কে অন্ধকারে দাঁড়ান ছিল। পেছন থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে আসছিলেন পুলিশের এক এএসআই ও এক সদস্য। ট্রাকে থাকা ওই বাঁশ বুকের ভেতরে ঢুকে এএসআই নিহত এবং বাঁশের আঘাতে পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার চাপড়া সেতুর কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত সহকারী উপপরিদর্শকের (এএসআই) নাম শাহ জামাল (৩৫)। তিনি আশাশুনি থানায় কর্মরত। তিনি যশোর জেলার শর্শা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের সুলতান আহমেদের ছেলে। বাঁশের আঘাতে আহত হয়েছেন একই থানার কনস্টেবল নাজমুছ ছাদাত।

এএসআই শাহ জামাল ২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আশাশুনি থানায় যোগদান করেন। তাঁর লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
মো. গোলাম কবীর, ওসি, আশাশুনি

কনস্টেবল নাজমুছ ছাদাত জানান, রাতে টহল শেষে মোটরসাইকেলে এএসআই শাহ জামাল ও তিনি থানায় ফিরছিলেন। বাঁশভর্তি একটি ট্রাক চাপড়া সেতুর উত্তর পাশে সড়কের ওপর দাঁড়ান ছিল। বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে তাঁরা ওই স্থানে পৌঁছালে অসাবধানতাবশত একটি বাঁশের সামনের অংশ বুকের ডান পাশে ঢুকে গেলে শাহ জামাল গুরুতর আহত হন।  

কনস্টেবল নাজমুছ ছাদাত আরও জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য শাহ জামালকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। বাঁশের আঘাতে তিনিও আহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম কবীর  জানান,  এএসআই শাহ জামাল ২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আশাশুনি থানায় যোগদান করেন। তাঁর লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এই ঘটনায় ট্রাকচালক কালাম হোসেনকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ট্রাকচালকের বাড়ি  সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের জিয়াধানকুড়া গ্রামে।