আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করবে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযু‌ক্তি বিশ্ব‌বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছে
ছবি: আনিস মাহমুদ

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা দেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহম্মদ ইশফাকুল হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল রোববার ক্যাম্পাসের ভেতরে সংঘটিত দুঃখজনক ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এতে চিকিৎসাজনিত যাবতীয় ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহন করবে। আজ সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে যোগাযোগ করা হলে রেজিস্ট্রার মুহম্মদ ইশফাকুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আহত সবার চিকিৎসা ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহন করবে।

শিক্ষক সমিতির বিবৃতি

আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি তুলসী কুমার দাস ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুহিবুল আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। এতে শিক্ষক সমিতি স্তম্ভিত, মর্মাহত ও লজ্জিত। বিবৃতিতে তাঁরা ঘটনাটিকে ‘নারকীয়’ উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শিক্ষার্থী–শিক্ষকসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের সুচিকিৎসা প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে। একই সঙ্গে ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য সবার সহযোগিতা তাঁরা কামনা করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগ, হলের যাবতীয় অব্যবস্থাপনা দূর করে সুস্থ-স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত এবং ছাত্রীবান্ধব ও দায়িত্বশীল প্রাধ্যক্ষ কমিটি নিয়োগের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ ছাত্রী। গতকাল অবরুদ্ধ উপাচার্যকে মুক্ত করতে শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটার পাশাপাশি শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান উপাচার্য। শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে এবং উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে গতকাল রাত থেকে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।