আহরণনিষিদ্ধ চারটি শাপলাপাতা মাছ জব্দ, দুজন কারাগারে

বাগেরহাট জেলার মানচিত্র

বাগেরহাটে বিক্রি করতে নিয়ে আসা আহরণ নিষিদ্ধ চারটি শাপলাপাতা মাছ জব্দ করেছে বন বিভাগ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট শহরের কেবি বাজার এলাকা থেকে ২৭০ কেজি ওজনের ওই মাছগুলো জব্দ করেন সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের কর্মীরা। এ সময় দুই মৎস্য ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।

আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন কচুয়া উপজেলার বাধাল সরদারপাড়া এলাকার জাফর সরদার (৪৫) ও বাগেরহাট সদর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক সজল গাজী (২৫)। বন আইনে মামলা দায়েরের পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আটক হওয়া ব্যক্তিরা বলেন, মঙ্গলবার সকালে খুলনা মহানগরের রূপসা পাইকারি মৎস্য বাজারের মেসার্স আমিনিয়া ও আজমীর ফিশ ট্রেডার্স থেকে তাঁরা ৩৮ হাজার ৬৬০ টাকায় ওই চারটি শাপলাপাতা মাছ কেনেন। পরে বিক্রির জন্য বাগেরহাটে নিয়ে আসেন।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের সদর রেঞ্জের কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান বলেন, শাপলাপাতা বিলুপ্ত প্রজাতির মাছ। একসময় উপকূলীয় এলাকায় এই প্রজাতির মাছ প্রচুর পাওয়া গেলেও অব্যাহত শিকারে তা এখন হুমকিতে। এ জন্য বন আইনে সরকার শাপলাপাতা মাছ আহরণ ও বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে। বন বিভাগের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে। এরপরও কিছু অসাধু জেলে এই মাছ আহরণ করছে। ব্যবসায়ীরা এই মাছ বিক্রি করছেন।

বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, খুলনা থেকে বাগেরহাটে এই মাছ নিয়ে আসা ও বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করার অপরাধে ব্যবসায়ী জাফর সরদার ও ইজিবাইকের চালক সজল গাজীকে আটক করা হয়। ওই মাছ বিক্রির দায়ে খুলনার মেসার্স আমিনিয়া এবং আজমীর ফিশ ট্রেডার্সের মালিক হাজি মো. মাহবুব মোড়ল ও শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং আটক দুজনকে আসামি করে বন আইনে মামলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে জব্দ শাপলাপাতা মাছ কেরোসিন দিয়ে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে।