ইউপি সদস্যকে ফোন করে স্বামী বললেন, ‘আমি আমার স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেছি’

আবদুল আলীম ও তাঁর স্ত্রী নাজমা খাতুন
ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ইলিশপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে অভিযান চালিয়ে ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত নারীর নাম নাজমা খাতুন (৪৩)। তিনি সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ইলিশপুর গ্রামের আবদুল আলীমের স্ত্রী।

নিহত নারী স্বজন আমির আলী জানান, নাজমার প্রথম স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। এরপর প্রায় সাত বছর আগে আবদুল আলীমের সঙ্গে নাজমার বিয়ে হয়।

কেরালকাতা ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল ওয়াদুদ প্রথম আলোকে বলেন, আবদুল আলীম আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁকে মুঠোফোনে কল করে বলেন, ‘আমি আমার স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেছি। তোমরা ব্যবস্থা নাও।’ এই কথা বলেই আবদুল আলীম মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এরপর আবদুল ওয়াদুদ স্থানীয় কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে আলীমের বাড়িতে গিয়ে দেখেন, ঘরের খাটের ওপর নাজমা খাতুনের রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। এ সময় আবদুল আলীম দা হাতে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এরপর আবদুল ওয়াদুদ বিষয়টি কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) জানান।

নিহত নারী বড় ছেলে আকাশ সরদার প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল থেকে তাঁর মা–বাবা ঝগড়া করছিলেন। তবে কী নিয়ে ঝগড়া করছিলেন, সেটা তিনি জানেন না। পরে তাঁর দাদি ও বাবার কথা শুনতে পান তিনি। এ সময় তাঁর দাদি বলেন, ‘তুই যদি তোর বউকে না মারিস (মারধর), তাহলে আগের মতো ভাইপোদের দিয়ে তোকে মার খাওয়াব।’

কিছুক্ষণ পর আকাশ বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। পরে তিনি তাঁর মাকে কল দিলেও কোনো সাড়া মেলেনি। পরে তিনি বাড়ি ফিরে দেখেন, খাটের ওপর তাঁর মায়ের খণ্ডিত লাশ পড়ে আছে।

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দীন মৃধা বলেন, অভিযুক্ত আবদুল আলীম ঘটনার পর পালিয়ে সাতক্ষীরা যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। পরে সাতক্ষীরা-কলারোয়া রুটের একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে কাজীরহাট এলাকা থেকে আবদুল আলীমকে আটক করা হয়েছে। নাজমার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।