ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার তিনজনের পাঁচ দিনের রিমান্ড

রিমান্ড
প্রতীকী ছবি

সিলেটের কানাইঘাটে মো. ফরিদ উদ্দিন (৩০) নামের এক যুবককে হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। গতকাল শনিবার দুপুরে আসামিদের কানাইঘাট সহকারী জজ আদালতে তুলে পুলিশ আট দিন করে রিমান্ডের আবেদন করলেও বিচারক পাঁচ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কানাইঘাট উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য নাজিম উদ্দিন, মোস্তাক আহমদ ও কাওসার আহমদ।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত ফরিদ উদ্দিন মোটরসাইকেলে শাহীন আহমদ (৩২) নামের আরেক যুবকের সঙ্গে কানাইঘাটের মমতাজগঞ্জ বাজার থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। বড়খেওড় গ্রামের বিদ্যালয়ের পাশে পৌঁছালে কয়েকজন তাঁর মোটরসাইকেলের গতি রোধ করেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা ফরিদ উদ্দিনকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এ সময় শাহীন আহমদের ওপরও হামলা চালানো হয়। হামলায় ফরিদ উদ্দিনের এক পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান ফরিদ উদ্দিন।

হত্যাকাণ্ডের পর ২ ফেব্রুয়ারি ফরিদ উদ্দিনের বাবা রফিকুল হক বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে কানাইঘাট থানায় মামলা করেন। এর পরের দিন গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সিলেট ও মৌলভীবজারের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৯।

আরও পড়ুন

এই তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর র‍্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ঘিরে নিহত ফরিদ উদ্দিন ও তাঁর শ্যালক কয়েছ উদ্দিন মিলে একটি পক্ষ এবং ইউপি সদস্য নাজিম উদ্দিন, তাঁর ভাই হেলাল আহমদসহ অন্যান্য ভাই মিলে আরেকটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ ছিল। দুটি পক্ষই একই গ্রামের বাসিন্দা এবং পরস্পরের নিকটাত্মীয়। আগে থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে মামলা-হামলার ঘটনা চলে আসছিল। সম্প্রতি নাজিম উদ্দিন লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়নের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর এ বিরোধ নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি করে। নাজিমের পক্ষ ফরিদকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। এরই জেরে হামলা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে নিহত ফরিদ উদ্দিনের বিচ্ছিন্ন হওয়া পা ঘটনার ছয় দিন পরও উদ্ধার করতে পারেননি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। কানাইঘাট থানা–পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন থেকে পুলিশ হামলার স্থলসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় সন্ধান চালিয়েও তা খুঁজে পায়নি।

কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, নিহত ফরিদ উদ্দিনের বিচ্ছিন্ন পা সন্ধান চালিয়েও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের গতকাল দুপুরে পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে।