ইউপি সদস্যের বাড়িতে কাদের মির্জার অনুসারীদের হামলার অভিযোগ

নোয়াখালী জেলার মানচিত্র

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ চরকাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জামাল উদ্দিনের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও খড়ের গাদায় অগ্নিসংযোগ করেছে একদল দুর্বৃত্ত। আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীরা কোনো কারণ ছাড়াই তাঁদের বাড়িতে তাণ্ডবলীলা চালান। এতে বাড়ির নারী ও শিশুরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে।

ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিনের ছোট ভাই আলাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, বসুরহাট বাজারে তাঁদের একাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাঁর বড় ভাই জামাল উদ্দিন চরকাঁকড়া ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। সাম্প্রতিক সময়ে বসুরহাটে আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই পক্ষের বিরোধের পরিপ্রেক্ষিতে কাদের মির্জা তাঁদের (আলাউদ্দিন) গালমন্দ করায় তাঁরা প্রতিপক্ষ মিজানুর রহমান বাদলের পক্ষ নেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কয়েক দিন আগে তাঁর দুই ভাইয়ের ওপর হামলা চালান কাদের মির্জার অনুসারীরা।

আলাউদ্দিন অভিযোগ করেন, ধারাবাহিক হামলার অংশ হিসেবে আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে কাদের মির্জার অনুসারী নাজিম উদ্দিন ওরফে বাদল, মাঈন উদ্দিন ওরফে কাঞ্চন, সাইফুল ইসলামসহ ১৫-২০ জনের একদল সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত তাঁদের বাড়িতে হামলা চালান। হামলাকারীরা ঘরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালান এবং বাড়ির সামনের খড়ের গাদায় আগুন ধরিয়ে দেন। তবে এতে কেউ হতাহত হননি। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের মির্জার অনুসারী নাজিম উদ্দিন দাবি করেন, তিনি আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চরকাঁকড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের প্রার্থী। তাঁকে হেয় করার জন্য কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ মিজানুর রহমানের অনুসারীরা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তাঁরা নিজেরা ঘটনা ঘটিয়ে তাঁর নাম প্রচার করছেন। তিনি ফেসবুকে দেখেছেন, কারা নাকি ওই বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন এবং ওই ঘটনায় তিনিও ছিলেন।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিনের বাড়িতে কাদের মির্জার অনুসারীদের হামলা-ভাঙচুর ও খড়ের গাদায় অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যায়। প্রাথমিকভাবে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।