ইকবালের বিরুদ্ধে নির্যাতনের মামলা আছে স্ত্রীর

কুমিল্লা নগরের নানুয়া দীঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় গ্রেপ্তার ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা আছে। মামলাটির বাদী তাঁরই স্ত্রী। এটি কুমিল্লার আদালতে বিচারাধীন।

এদিকে ১৩ অক্টোবর নানুয়া দীঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপের ঘটনা মুঠোফোনে ৯৯৯–এ পুলিশকে জানিয়েছিলেন ইকরাম হোসেন। তাঁর বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই ও জবরদখলের অভিযোগে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি এবং ফেনীতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা আছে।

পুলিশ বলছে, এই ব্যক্তিদের ব্যবহার করে কোনো গোষ্ঠী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রেখে দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্তে মেতেছে। এখন ওই গোষ্ঠীকে শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৩ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লা নগরের নানুয়া দীঘির পাড়ে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে তৈরি অস্থায়ী পূজামণ্ডপে প্রতিমার মধ্যে পবিত্র কোরআন রাখা ছিল। এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হারুনুর রশিদ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা ও পবিত্র কোরআন অবমাননার অপরাধে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত করে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করে।

এরপর শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে ইকবাল হোসেনকে আটক করা হয়। এর আগে ৯৯৯–এ কল করা ইকরাম হোসেন ও নগরের দারোগাবাড়ি শাহ আবদুল্লাহ গাজীপুরী (রহ.)–এর মাজারের হুজুর মো. হুমায়ুন কবীর ও খাদেম মোহাম্মদ ফয়সলকে আটক করা হয়। তাঁদের এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বর্তমানে তাঁরা সাত দিনের রিমান্ডে আছেন। রিমান্ডের প্রথম দিনে ইকবাল তাঁর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের একটি মামলা রয়েছে বলে স্বীকার করেন। অপরদিকে ইকরাম হোসেন তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলার কথা জানান।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম বলেন, ইকবালের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর নারী নির্যাতন আইনে একই থানায় একটি মামলা করেন।

এ ছাড়া ইকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল চুরি, ছিনতাই ও জবরদখলের অভিযোগে একটি মামলা হয়। সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘এই থানায় একটি মামলা থাকতে পারে। নথি দেখে বিস্তারিত জানাব।’

এদিকে ২০১৮ সালের ১২ মার্চ ফেনীর সদর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরও একটি মামলা হয় ইকরামের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ইকরামের আরেক নাম রেজাউল হোসেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।