উত্তরাঞ্চলে ব্রহ্মপুত্র-ধরলার পানি বিপৎসীমার ওপরে
রংপুর ও কুড়িগ্রাম অঞ্চলে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ওই দুই অঞ্চলের অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ সোমবার সকালে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আজ সকাল ছয়টায় কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার ও কুড়িগ্রামের তালুক শিমুলবাড়ি এলাকায় ধরলা নদীর পানি ১৩ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। ব্রহ্মপুত্র নদের বিপৎসীমা হলো ২৩ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার আর ধরলা নদীর বিপৎসীমা হলো ৩১ দশমিক শূন্য ৯ সেন্টিমিটার।
এদিকে তিস্তা নদীর পানি তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এখানে বিপৎসীমা হলো ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার। রংপুরের কাউনিয়ায় তিস্তা নদীর পানি ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এখানে পানির বিপৎসীমা ২৯ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার। এ ছাড়া রংপুরের মুনেশ্বরী ও ঘাঘট নদের পানিও বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।
রংপুরের বন্যাকবলিত গঙ্গাচড়া উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের নিচু ও চরাঞ্চল এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করলেও তিস্তা নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার লক্ষ্মীটারি ইউনিয়নের ইছলি, শংকরদহ চর গ্রামে নদীভাঙন তীব্র হয়েছে। সেখান থেকে প্রায় ৩০টি পরিবার তাদের ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়ে বাঁধের ওপর কিংবা দূরের শুকনা স্থানে নতুন করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করছে। এ ছাড়া অন্য ইউনিয়নের ভাঙনকবলিত বাসিন্দারা বসতভিটা ছেড়ে অন্যত্র সরে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।