উদ্বোধনের অপেক্ষায় বেকুটিয়ার সেতু

সেতুটি চালুর পর বরিশাল-খুলনা পথে নিরবচ্ছিন্ন যান চলাচল করবে। কচা নদীর ওপর ফেরি পারাপারের দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।

পিরোজপুরের কচা নদীর ওপর বেকুটিয়া পয়েন্টে নির্মিত অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু। সম্প্রতি সেতুর পিরোজপুর প্রান্তে
ছবি: এ কে এম ফয়সাল

বরিশাল–খুলনা মহাসড়কে পিরোজপুরের কচা নদীর ওপর বেকুটিয়া পয়েন্টে নির্মিত অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু শিগগিরই উদ্বোধন হতে পারে। ইতিমধ্যে সেতুর ৯৮ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতুটি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কাছে শিগগিরই হস্তান্তর করবে।

সেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাসুদ মাহামুদ বলেন, এখন শেষ মুর্হূতের কিছু কাজ চলছে। সেতুটি হস্তান্তর করার পর উদ্বোধনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হবে। চুক্তি অনুযায়ী আগামী ১ জুলাই থেকে দুই বছর রক্ষণাবেক্ষণ করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

বেকুটিয়া সেতু চালু হলে বরিশালের সঙ্গে খুলনায় সড়কপথে আর কোনো ফেরি থাকবে না। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পায়রা সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে মোংলা সমুদ্রবন্দরের মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে।

পিরোজপুর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও পিরোজপুর পৌরসভার মেয়র হাবিবুর রহমান বলেন, বেকুটিয়া সেতু চালুর পর বরিশাল ও খুলনার মধ্যে সড়কপথে যোগাযোগ সহজ হবে। ফলে এ অঞ্চলে শিল্প ও পোশাক কারখানা তৈরি হতে পারে।

সরেজমিন দেখা গেছে, সেতুর পিরোজপুর প্রান্তে টোল প্লাজার কাজ চলছে। বাকি সব কাজ শেষ হয়ে গেছে। সংযোগ সড়কের আশপাশে গড়ে উঠতে শুরু করেছে রেস্তোরাঁসহ নানা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।

আশীর্বাদ পরিবহনের বাসচালক মো. আসাদ বলেন, ‘খুলনা থেকে বরিশাল যেতে আমাদের বেকুটিয়া ফেরি পার হতে হয়। ফেরিঘাটে প্রায়ই যানজট থাকে। দেড় থেকে দুই ঘণ্টা অপেক্ষার পর ফেরি পার হতে হয়। এ ছাড়া মাঝেমধ্যে ফেরি বিকল হয়ে পড়ে। তখন অপেক্ষা আরও দীর্ঘ হয়।’

পিরোজপুর সওজ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বেকুটিয়া সেতু নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। ৯৯৮ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ১৩ দশমিক ৪০ মিটার প্রস্থের এই সেতুতে ১০টি পিয়ার ও ৯টি স্প্যান রয়েছে। ৮৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে চীনের চায়না রেলওয়ে ১৭ ব্যুরো গ্রুপ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান সেতুটি নির্মাণ করেছে। এর মধ্যে ৬৫৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা চীন সরকার এবং বাকি অর্থ সরকার দিয়েছে।