একঘরে অবস্থা থেকে মুক্তি পেল লালমনিরহাটের সেই তিন পরিবার

জমি নিয়ে বিরোধ থেকে তিন পরিবারকে একঘরে করে রাখার ঘটনার সমাধানে সমঝোতা বৈঠক। আজ রোববার দুপুরে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে
ছবি: প্রথম আলো

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে লালমনিরহাট সদরে তিন পরিবারকে একঘরে করে রাখার ঘটনার সমাধান হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিবদমান দুই পক্ষ সমঝোতা করতে রাজি হয়। এ সময় লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর দুই পক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা দেন।

সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ছেকনাপাড়া গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ছয় মাস আগে বায়তুন মাকাম জামে মসজিদ থেকে ইসহাক আলী, এমাদ উদ্দিন ও রিয়াজুল ইসলামের পরিবারকে তাদের প্রতিপক্ষ গ্রামের প্রভাবশালী আবদুল মতিন একঘরে ঘোষণা করেন।

এ নিয়ে ২০ মে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) একঘরে থাকা পরিবারের সদস্যরা লিখিত অভিযোগ করেন। এ নিয়ে গতকাল শনিবার প্রথম আলোর উত্তর সংস্কারণ এবং প্রথম আলো অনলাইন সংস্করণে ‘জমি নিয়ে বিরোধ, ছয় মাস ধরে তারা একঘরে’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

আরও পড়ুন

আজ দুপুরে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ নিয়ে সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর, সদরের ইউএনও উত্তম কুমার রায়, খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান মণ্ডল, অভিযোগকারী ইসহাক আলী, রিয়াজুল ইসলাম, ছেকনাপাড়া বায়তুন মাকাম জামে মসজিদের ঈমাম সহিদার রহমান, অভিযুক্ত আবদুল মতিন প্রমুখ। এর আগে ইউএনও উত্তম কুমার রায় ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান মণ্ডল দুই পক্ষকে সমস্যার সামাজিক সমাধান করে নিতে উদ্বুদ্ধ করেন।

ছয় মাস ধরে একঘরে হয়ে থাকাদের একজন ইসহাক আলী বলেন, প্রথম আলো পত্রিকায় সমস্যা নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ফলে এত দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়েছে। তিনি সমস্যার সামাজিক সমাধান করার জন্য জেলা প্রশাসক, ইউএনও, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর বলেন, সমস্যার সামাজিক সমাধান করে উভয় পক্ষ শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়েছেন। অন্যথায় দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হতো।