এক সন্তানকে কুপিয়ে হত্যার পর কোপালেন স্ত্রী ও আরেক সন্তানকে, এরপর আত্মহত্যার চেষ্টা
রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় এক সন্তানকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর স্ত্রী ও আরেক সন্তানকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এরপর ওই ব্যক্তি গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। গতকাল রোববার রাত আটটার দিকে উপজেলার কৈকুড়ি ইউনিয়নের মোংলাকুটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের ধারণা।
এ ঘটনায় নিহত হয়েছে রশিদুল ইসলাম (৪০) নামের ওই ব্যক্তির বড় মেয়ে রাফিয়া আক্তার (১১)। আর গুরুতর জখম হয়েছেন তাঁর স্ত্রী জেসমিন আক্তার ও তাঁদের চার বছর বয়সী ছোট মেয়ে রুবাইয়া আক্তার। রশিদুল, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রশিদুল ও জেসমিনের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। গতকাল সন্ধ্যার দিকে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর হাতাহাতি শুরু। একপর্যায়ে রশিদুল ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এতে বড় মেয়ে রাফিয়া আক্তারের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হন স্ত্রী ও ছোট মেয়ে। পরে রশিদুল নিজেই নিজের গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাঁদের উদ্ধার করেন। পরে তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ছুরিকাঘাতে এক সন্তানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেস চন্দ্র প্রথম আলোকে বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে রশিদুল তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়েকে কুপিয়ে পরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। গতকাল রাত দেড়টার দিকে নিহত শিশুটির নানা জাহাঙ্গীর মিয়া বাদী হয়ে রশিদুলকে আসামি করে পীরগাছায় থানায় হত্যা মামলা করেছেন।