কক্সবাজারে দুই বাংলার ২০ কবি-সাহিত্যিকের আড্ডা

কক্সবাজারে দুই বাংলার ২০ জন কবি-সাহিত্যিক মতবিনিময় সভা ও সাহিত্য–আড্ডায় মিলিত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে জেলা শহরের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে
ছবি: প্রথম আলো

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের তীরে অবস্থিত কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের ২০ জন কবি–সাহিত্যিক আড্ডা, আলোচনা, গান ও কবিতাময় দুপুর কাটিয়েছেন।

শুক্রবার দুপুরে ওই কেন্দ্রের সন্মেলনকক্ষে এ মতবিনিময় সভা ও সাহিত্য–আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহিত্য, জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা।

দুপুর ১২টায় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক মং এ খেন রাখাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাহিত্যিক মোয়াজ্জেম হোসেন ফিরোজ। বেলা আড়াইটায় শেষ হয় এ মিলনমেলা।

আড্ডায় বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি ও সমাজনীতি নিয়ে কথা বলেন মোয়াজ্জেম হোসেন ফিরোজ। এই যুগ্ম সচিব বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন অধিকতর উষ্ণ, সৌহার্দ্যপূর্ণ ও উন্নয়নমুখী। ভারত–বাংলাদেশের বন্ধুত্ব সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং ’৭১–এর রক্তের রাখিবন্ধনে আবদ্ধ। দুই দেশের সম্পর্কের সেতুবন্ধন সময়ের পরিক্রমায় দিন দিন নবতর মাত্রায় উন্নীত হচ্ছে।

এ সময় বক্তব্য দেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কবি সুবীর বড়ুয়া, সৈকত সেন, অস্বরীম বুশ, জ্যোতির্ময় রায়, সোবিকা ধর প্রমুখ। গান ও কবিতা আবৃত্তি করেন পশ্চিমবঙ্গের কবি অনিকেত মিনাল কান্তি, অম্ভোরিশ ঘোষ, বাংলাদেশের কবি আনিস মোহাম্মদ, আসাদুজ্জামান, শিশুসাহিত্যিক রহিম শাহ, নাদিরা খানম, কৌমুদি নারগিস, ফারুক ফারভিন, কবি কামরুল হাসান, নিলয় রফিক প্রমুখ।

সভায় গান, কবিতা ও কথামালায় ফুটে ওঠে ভারত–বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক মং এ খেন বলেন, সংস্কৃতি, ভাব ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে, এর সঙ্গে কিছুর তুলনা চলে না। দুই দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের বিকল্প নেই।

পশ্চিমবঙ্গের ‘এক পশলা বৃষ্টি’ পত্রিকার সম্পাদক কবি অস্বরীম বুশ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দেশে এসেছি গতকাল (বৃহস্পতিবার)। মনে হচ্ছে নিজের দেশেই আছি। বঙ্গবন্ধুকে আমরাও ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি। আর বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতে দারুণ সময় কাটছে। এই এলাকা সংস্কৃতি ও ঐহিত্যসমৃদ্ধ মনে হয়েছে।’

কাল শনিবার সকালে শহরের ‘বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমিতে’ অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু কবিতা উৎসব। উৎসবে যোগ দেবেন দুই বাংলার এ ২০ কবি-সাহিত্যিক।