কমলগঞ্জে এক মাস ধরে পানিবন্দী ৩০ পরিবার

বাড়ির সামনে পানি জমে থাকায় পথ চলতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় বাসিন্দাদের। সম্প্রতি কমলগঞ্জের শমশেরনগরে পশ্চিম বাজার খাদ্যগুদাম সড়কে
ছবি: প্রথম আলো

নালার পানিপ্রবাহের পথ বন্ধ করে কয়েকটি বহুতল ভবন নির্মাণ করায় কমলগঞ্জে এক মাস ধরে পানিবন্দী অবস্থায় আছে ৩০টি পরিবার। উপজেলার শমশেরনগরে পশ্চিম বাজার খাদ্যগুদাম সড়কের নালা বন্ধ করায় পানি উঠেছে পরিবারগুলোর বসতবাড়িতে।

শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, সড়কটির ধারে প্রয়াত আবদুল বারি চৌধুরীর ভবনের সামনে ইউনিয়ন পরিষদের একটি ছোট কালভার্ট আছে। এ কালভার্ট দিয়ে শমশেরনগর রেলস্টেশনের দক্ষিণ দিকের ও শতাধিক বসতবাড়ির পানি প্রবাহিত হয়। এ পানি পশ্চিম দিকে শিংরাউলী গ্রাম হয়ে লাঘাটা ছড়ায় মিশেছে। কিন্তু এ এলাকায় রফিক মিয়া ও জয়নাল আবেদীন নামের দুই ব্যক্তি বহুতল ভবন নির্মাণ করায় নালার পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে।

ভবনগুলোর কারণে নালার পানি এখন সড়কের বেশ কিছু অংশ ও দুই পাশের ৩০টি বাড়িতে উঠেছে। ভুক্তভোগী আজিজুর রহমান ও রিনা বেগম বলেন, সড়কের পশ্চিম ধারের জনৈক রফিক মিয়া ও জয়নাল আবেদীন তাঁদের জমিতে বহুলতল ভবন নির্মাণের সময় মাটি দিয়ে ভরাট করে নালার পানিপ্রবাহের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। ফলে নালার পানি ও বৃষ্টির অতিরিক্ত পানি প্রবাহিত হতে না পেরে সড়কের একটি অংশ ডুবে ও বসতবাড়ির উঠানে উঠেছে।

এ বিষয়ে জানতে রফিক মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে অপর ভবনমালিক জয়নাল আবেদীন বলেন, তাঁর জমির একাংশের ওপর দিয়ে নালার পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে ইউপি চেয়ারম্যানের কথায় তিনি রাজি ছিলেন। তাঁর ও রফিক মিয়ার জমির একাংশে নালা করার জন্য ব্যক্তিগতভাবে চেয়ারম্যানের সঙ্গে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তবে রফিক মিয়ার অসহযোগিতার কারণে তা আর হয়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি বলেন, জয়নাল আবেদীন বা রফিক মিয়ার জমির ওপর দিয়ে সরকারি কোনো নালা নেই। এ জমি খালি থাকা অবস্থায় নালার পানি প্রবাহিত হতো।

শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুয়েল আহমেদ বলেন, নালা করতে দুই ভবনমালিকের সহযোগিতা প্রয়োজন। কিন্তু রফিক মিয়া কোনো প্রকার সহযোগিতা করতে রাজি নন। তাই তিনি সমস্যার সমাধানের প্রস্তাবসহ একটি প্রতিবেদন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ও কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছেন।

এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দীন বলেন, প্রায় তিন সপ্তাহ আগে তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমাইয়া আক্তারকে সঙ্গে নিয়ে এলাকাটিতে গিয়েছিলেন। এখন জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।