কসবায় আওয়ামী লীগ নেতা ও তাঁর ছেলেকে মারধর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মানচিত্র

ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পানিয়ারুপে আজ মঙ্গলবার বিকেলে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন মিয়া (৭২) ও তাঁর ছেলে রুহুল আমিনকে (৩০) মারধর করা হয়েছে।

মিলন মিয়া (৭২) কসবা উপজেলার কাইমপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ইউনিয়নের পানিয়ারুপ গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর ছেলে রুহুল আমিন আওয়ামী লীগের কর্মী। ষষ্ঠ ধাপে উপজেলার সাতটি ইউপির নির্বাচন ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোনো মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।
কাইমপুর ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. ইয়াকুব আলী ভূইয়া এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকতিয়ার আলম।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মো. ইয়াকুব আলী ভূঁইয়ার নির্বাচনের সমর্থনকারী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মিলন মিয়া। তিনি আজ বিকেলে পানিয়ারুপ গ্রামের বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে ইকতিয়ার আলমের সমর্থিত পানিয়ারুপ গ্রামের বাসিন্দা আবুল খায়েরের নেতৃত্বে কয়েকজন তাঁকে পিটিয়ে আহত করেন। খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন দৌড়ে এসে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। পরে মিলন মিয়ার বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। বাধা দিলে মিলন মিয়ার ছেলে রুহুল আমিনকেও মারধর করা হয়। খবর পেয়ে কসবা থানা–পুলিশ রুহুল আমিনকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

মিলন মিয়া বলেন, মো. ইয়াকুব আলী ভূঁইয়ার পক্ষে নির্বাচন করায় ইকতিয়ার আলমের সমর্থিত আবুল খায়েরের লোকজন তাঁকে মারধর করেছেন।

ইকতিয়ার আলম বলেন, ‘আমি অন্য এলাকায় ছিলাম। স্থানীয় এক সাংবাদিকের মাধ্যমে মারধরের খবর পেয়েছি।’ তিনি দাবি করেন, নির্বাচন নয়। টাকারপয়সার দরবার নিয়ে মারধর করা হয়েছে।

কসবা থানার ওসি মুহাম্মদ আলমগীর ভূঞা বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।