কাদের মির্জাকে বহিষ্কার করতে উপজেলা আ. লীগের ৭ দিনের আলটিমেটাম

আবদুল কাদের মির্জা
ফাইল ছবি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য সাত দিনের আলটিমেটাম দিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় নিজের ফেসবুক লাইভে এসে সংগঠনের পক্ষে এ আলটিমেটাম দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র সাবেক ছাত্রনেতা মাহবুবুর রশিদ ওরফে মঞ্জু। তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগনে।

সেতুমন্ত্রীর ভাই আবদুল কাদের মির্জা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

মাহবুবুর রশিদ বলেন, ‘আবদুল কাদের মির্জা তথাকথিত সত্যবচনের নামে কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগসহ সারা দেশের আওয়ামী লীগের রাজনীতি ধ্বংস করছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, যাঁদের কাছে বিচার দিয়েছি, তাঁরা সবাই ব্যর্থ হয়েছে। আপনি আমাদের শেষ ঠিকানা। আমরা আগামী শুক্রবার পর্যন্ত সময় দিলাম। এর মধ্যে যদি কাদের মির্জাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার না করা হয়, তাহলে আমরা ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করব এবং প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করব।’

ওবায়দুল কাদেরের ভাগনে মাহবুবুর রশিদ অভিযোগ করে বলেন, ‘কোম্পানীগঞ্জে বর্তমানে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। আপনি মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান বাড়িয়েছেন। কিন্তু এই কাদের মির্জা কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর হামলা চালিয়েছেন। এভাবে যদি একজন মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করা হয়, তারপর আমাদের আর কিছুই বলার থাকে না।’

মাহবুবুর রশিদ বলেন, কোম্পানীগঞ্জের মানুষ তাঁর (কাদের মির্জা) তথাকথিত সত্যবচনের নামে অপরাজনীতির কাছে জিম্মি। আগামী সাত দিনের মধ্যে যদি তাঁকে বহিষ্কার করা না হয়, তাহলে গণরোষের কারণে কোনো ঘটনা ঘটলে তার দায় প্রশাসন ও আওয়ামী লীগকে নিতে হবে।

মাহবুবুর রশিদের আলটিমেটামের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদেরের অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাহবুব রশিদ ফেসবুক লাইভে ওই আলটিমেটাম দিয়েছেন। আলটিমেটাম অনুযায়ী আগামী সাত দিনের মধ্যে কাদের মির্জাকে বহিষ্কার করা না হলে ঢাকায় গিয়ে কর্মসূচি পালন করা হবে।