কাশিমপুর কারাগারে ৬ ছাত্র হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু
ঢাকার সাভার উপজেলার আমিনবাজার বড়দেশী গ্রামে ছয় কলেজছাত্র হত্যা মামলায় কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া কয়েদি নিহর ওরফে জমসের আলীর (৪৪) মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। জমশের আলী বড়দেশী পূর্বপাড়া এলাকার মনসুর আলীর ছেলে।
কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, আসামি জমসের আলী সকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে কারা হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁর রক্তচাপ খুবই কম পান। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসক জমসের আলীকে মৃত ঘোষণা করে। তিনি সাভারের আমিনবাজার এলাকায় ছয় কলেজছাত্র হত্যা মামলার ফাঁসির আসামি হিসেবে কারাগারে বন্দী ছিলেন। তাঁর হাজতি নম্বর-৫১৯১/এ। তাঁকে ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। তাঁর বিরুদ্ধে সাভার থানার মামলা নম্বর ৬৪(৭)১১ দায়রা নম্বর-২৯৯/১৩ ধারা-৩০২/৩৪/২০১ রুজু ছিল।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে জমসেরের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
২০১১ সালের ১৭ জুলাই পবিত্র শবে বরাতের রাতে ঢাকা থেকে কলেজপড়ুয়া সাত বন্ধু মিলে আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রামে বেড়াতে যান। দিনভর গ্রামটিতে ঘুরে বেড়ানোর পর রাতে তাঁরা কেবলারচরে অবস্থান নেন। মধ্যরাতে হঠাৎই ছাত্রদের থাকার জায়গায় একদল লোক উপস্থিত হন। তখন ছাত্ররা নিজেদের পরিচয় দিলেও তা না শুনে এলোপাতাড়ি মারধর করেন তাঁরা। একপর্যায়ে হামলাকারীরা সঙ্গে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছাত্রদের আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই ছয় ছাত্র নিহত হন। গুরুতর আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান একজন।