কিশোরকে হত্যা করে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান দুজন: পুলিশ

গাজীপুর জেলার মানচিত্র

গাজীপুরের শ্রীপুরে চালক মো. দুখু মিয়াকে (১৩) গলা কেটে হত্যার পর ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যান গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ সোমবার দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুর থানা পুলিশ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায়।

এর আগে গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে শ্রীপুরের নগরহাওলা গ্রাম থেকে দুখু মিয়ার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার গাছগড়া গ্রামের মো. জাবেদ মিয়ার ছেলে। তারা সপরিবার নগরহাওলা গ্রামে সুলতান উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকত।

গ্রেপ্তার দুই আসামি হলেন মো. মৃদুল ইসলাম (২১) ও মো. আমিরুল ইসলাম (২৫)। মৃদুল ইসলাম নগরহাওলা গ্রামের মো. অহিদ মিয়ার ছেলে। পেশায় তিনি অটোরিকশাচালক হলেও মাঝেমধ্যে নির্মাণশ্রমিকের কাজ করেন।

আমিরুল ইসলাম ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার বোররচর গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে। তিনি উপজেলার জৈনাবাজার এলাকায় ভাঙারির ব্যবসা করেন।

পুলিশ জানায়, দুখু মিয়ার গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তার বাবা মো. জাবেদ মিয়া দুজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত দুজনকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেপ্তার করে শ্রীপুর থানা পুলিশ। এরপর পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলা থেকে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার দুই আসামির বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে শ্রীপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বলেন, আমিরুল ইসলাম ভাঙারি ব্যবসার আড়ালে চোরাই অটোরিকশা কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত। রোববার অটোরিকশা ছিনতাইয়ে আমিরুল ও মৃদুল অংশ নেন। তাঁরা যাত্রী সেজে দুখুর অটোরিকশাটি ভাড়া করেন। পরে নগরহাওলা গ্রামের সোহাগ হাজীর বাড়ির কাছের সড়কে পৌঁছালে দুখুকে অটোরিকশা থামতে বলেন। এরপর দুখুর গলায় ছুরিকাঘাত করেন মৃদুল। এরপর তাঁরা অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যান।

পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, দুখু মিয়া স্থানীয় মো. ইয়াসিন নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে অটোরিকশাটি ভাড়া নিয়ে চালাত। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় সে। এরপর রাত ১০টার দিকে পরিবারের লোকজন তার গলাকাটা লাশ উদ্ধারের খবর পান।

দুখু মিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া।