কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে তরুণীকে উত্ত্যক্তের অভিযোগ

জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে করা একটি ধর্ষণ মামলার বিষয়ে ফেসবুকে বক্তব্য দেওয়ায় হয়রানি করা হচ্ছে বলে তরুণীর অভিযোগ।

কিশোরগঞ্জ জেলার মানচিত্র।
প্রতীকী ছবি

কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের (৩০) বিরুদ্ধে হুমকি, হয়রানি ও উত্ত্যক্তের অভিযোগ এনে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন এক তরুণী (২২)। গত বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় তিনি লিখিত অভিযোগটি জমা দেন।

জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ওই তরুণী একটি ধর্ষণ মামলা করেছিলেন। পরে ফেসবুক লাইভে এসে বিষয়টি সঠিক নয় বলে বক্তব্য দেওয়ায় তাঁকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে ওই তরুণীর অভিযোগ।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক আজ শনিবার বলেন, তিনি অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।

অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ারের পাশাপাশি তাঁর ভাগনে নাজমুল হীরার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

ওই তরুণী বলেছেন, ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, তাঁর ভাগনে নাজমুল হীরাসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬ থেকে ৭ জন দুই মাস ধরে তাঁকে নানাভাবে হয়রানি করে আসছেন। তাঁরা প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে ফোন কল এবং ফেসবুকে আপত্তিকর খুদে বার্তা পাঠানোর মাধ্যমে তাঁকে উত্ত্যক্ত করছেন।

তাঁর ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যা ও নোংরা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। দুই মাস ধরে তিনি আনোয়ার হোসেনের ভয়ে বাসা থেকে বের হতে পারছেন না। যেকোনো সময় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাঁর বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারেন।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগের বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেনেছেন। ওই তরুণী এর আগেও কমিটির এক সাংগঠনিক সম্পাদকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছিলেন। এরপর ফেসবুক লাইভে এসে দাবি করেন কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক তাঁকে দিয়ে মামলা করিয়েছেন। অথচ তাঁর সঙ্গে কোনো সময় কথাই হয়নি। তিনি সংগঠনের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য একেক সময় একেকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন।

জেলা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, গত ৪ এপ্রিল জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণ মামলা করেছিলেন ওই তরুণী। পরে তিনি ফেসবুক লাইভে এসে লুৎফর রহমানকে নির্দোষ দাবি করেন।

ওই তরুণী বলেন, আনোয়ার হোসেন তাঁর এলাকার বড় ভাই। এ জন্য তাঁর কথায় না বুঝেই তিনি লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। পরে ভুল বুঝতে পেরে ফেসবুক লাইভে এসে বিষয়টি পরিষ্কার করেন। এরপর থেকেই তাঁকে নানা হুমকি দেওয়া হচ্ছে।