কিশোরীকে যৌন নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় গ্রেপ্তার ১
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় কিশোরীকে যৌন নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পুলিশের একটি বিশেষ দল টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুরের অর্জুনা গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তির নাম শান্তি মিয়া (৫০)। তিনি আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর গ্রামে বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩ জুন রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার একটি বাড়িতে সাধুসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বাউলগানের শিল্পীরা গানবাজনা পরিবেশন করেন। গানবাজনা চলাকালে লোকমান ওরফে রোকমান নামের এক ব্যক্তি ওই বাড়িতে ঢুকে ১৪ বছরের কিশোরীকে যৌন নির্যাতন করেন। এতে শান্তি মিয়া সহযোগিতা করেন। এ ঘটনায় ওই কিশোরী বসতঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। গত ৪ জুন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরী মারা যায়। মৃত্যুর আগে ওই কিশোরী তার মা–বাবা ও পরিবারের সদস্যদের কাছে পুরো ঘটনা খুলে বলে।
এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় যৌন নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করেন। মামলায় লোকমান ওরফে রোকমানকে প্রধান ও শান্তি মিয়াকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে আজ আদালতে তোলা হবে। অভিযুক্ত প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।