কুমিল্লার মুরাদনগরে অগ্নিসংযোগের মামলার আরও এক আসামি গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোরবানপুর গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে এ ঘটনায় হওয়া চারটি মামলায় ১৩ জন গ্রেপ্তার হলেন।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম সেলিম মিয়া। তাঁর বাড়ি কোরবানপুর গ্রামে। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ পর্যন্ত ১৩ জন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। পুলিশ প্রতিরাতেই অভিযান চালাচ্ছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
কামরুজ্জামান তালুকদার, ওসি, বাঙ্গরা বাজার থানা

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, ফ্রান্সে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশকে সমর্থন জানিয়ে গত শনিবার কোরবানপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী এক ব্যক্তি ফেসবুকে পোস্ট দেন বলে অভিযোগ ওঠে। এতে সমর্থন জানিয়ে তাঁর পোস্টের নিচে মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ কোরবানপুরের বাসিন্দা ব্লুবার্ড কিন্ডারগার্টেনের প্রধান শিক্ষক শংকর দেবনাথ (৫৪) ও আন্দিকুট গ্রামের অনিল ভৌমিকের (২১) বিরুদ্ধে। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে মন্তব্যকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সন্ধ্যায় কোরবানপুর বাজারে বিক্ষোভ হয়। খবর পেয়ে রাতে পুলিশ শংকর ও অনিলকে আটক ও তাঁদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে। এই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে রোববার কুমিল্লার আদালতে নেওয়া হয়। আদালতের বিচারক তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ওই ঘটনা নিয়ে এলাকায় যেন সংঘাত ও সহিংসতা না ঘটে, সে জন্য রোববার বিকেলে কোরবানপুর জিএম উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে সম্প্রীতি সভা করে বাঙ্গরা বাজার থানার পুলিশ। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদারের কথায় উপস্থিত বেশির ভাগ ব্যক্তি একমত পোষণ করেন। সভা চলাকালে পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বনকুমার শিবসহ তিনজনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও মন্দিরে ভাঙচুর করা হয়। এ সময় টাকাসহ লুটপাটের ঘটনাও ঘটে বলে অভিযোগ। এ ঘটনায় সোমবার তিন ব্যক্তি যথাক্রমে ৯১, ৮৫ ও ৮৭ জনের নামে বাঙ্গরা বাজার থানায় মামলা করেন। মঙ্গলবার আরেকটি মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ১৬০ জনকে আসামি করা হয়।

বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, এ পর্যন্ত ১৩ জন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। পুলিশ প্রতিরাতেই অভিযান চালাচ্ছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।