কুমিল্লায় কৃষি গবেষণা কার্যালয়ের কর্মচারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
কুমিল্লা কৃষি গবেষণা অফিসের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী জহিরুল ইসলামকে (২৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে আটটায় কুমিল্লা শহরতলির আড়াইওরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় জহিরুলকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুর আগে হাসপাতালে নেওয়ার পথে জহিরুল ইসলাম তাঁর ওপর হামলাকারীদের নাম বলে গেছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর বড় ভাই নুরুল ইসলাম (৫২)। তাঁদের এলাকার রেহানউদ্দিন আহাম্মদের ছেলে আইনজীবী সাইফউদ্দিন আহাম্মদ ওরফে সবুজ (৪৪) ও তাঁর সঙ্গে থাকা আজহারুল ইসলাম জহিরুলকে ছুরিকাঘাত করেছেন।
জহিরুল ইসলাম কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার দুর্গাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের সাতরা চম্পকনগর এলাকার প্রয়াত ফরিদ মিয়ার ছেলে। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে জহিরুল ইসলাম চতুর্থ। তাঁর তিন বছরের এক পুত্রসন্তান রয়েছে।
মৃত্যুর আগে হাসপাতালে নেওয়ার পথে জহিরুল ইসলাম তাঁর ওপর হামলাকারীদের নাম বলে গেছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর বড় ভাই নুরুল ইসলাম। তাঁদের এলাকার আইনজীবী সাইফউদ্দিন আহাম্মদ ওরফে সবুজ (৪৪) ও তাঁর সঙ্গে থাকা আজহারুল ইসলাম জহিরুলকে ছুরিকাঘাত করেছেন।
নিহতের বড় ভাই নুরুল ইসলাম বলেন, কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার সাতরা চম্পকনগর এলাকায় তাঁদের পরিবারের সঙ্গে একই এলাকার রেহানউদ্দিন আহাম্মদের ছেলে আইনজীবী সাইফউদ্দিন আহাম্মদ ওরফে সবুজের (৪৪) জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। জহিরুল গতকাল রাত সোয়া আটটায় আড়াইওরা এলাকায় মোটরসাইকেল সার্ভিসিং করাতে যান। এ সময় সাইফউদ্দিন আহাম্মদ ও আজহারুল ইসলাম তাঁকে ডেকে নেন। একপর্যায়ে জহুরুলের ঊরুতে তাঁরা ছুরিকাঘাত করেন। তখন আশপাশের লোকজন চিত্কার শুনে ছুটে ঘটনাস্থলে এসে দেখতে পান, দুজন ব্যক্তি দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় জহিরুলকে উদ্ধার করে প্রথমে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে নেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবুল হাশেম মনসুর তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে নিহতের স্ত্রী শেফালী আক্তার মাতম করছিলেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি স্বামীর হত্যার বিচার চান।
অভিযোগ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে সাইফউদ্দিন আহাম্মদের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। তবে তাঁর সহকর্মী অন্তত দুজন আইনজীবী প্রথম আলোকে বলেন, আজ মঙ্গলবার তিনি আদালতে যাননি।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হক দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এই ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। দুপুরে লাশের ময়নাতদন্ত করে পরিবারের কাছে দেওয়া হয়েছে।