কুমিল্লায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপির ১৫ নেতা কারাগারে

আদালত
প্রতীকী ছবি

বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশের দায়ের করা মামলায় কুমিল্লায় বিএনপি, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ১৫ নেতার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুল্লাহর আদালতে হাজির হয়ে আসামিরা জামিনের আবেদন করেন। এ সময় বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া ১৫ আসামি হলেন কুমিল্লা শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল কাইয়ুম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাখাওয়াত উল্লাহ, ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. বিল্লাল, কুমিল্লা মহানগর যুবদলের সভাপতি উত্বাতুল বারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়সালুর রহমান, তারেকুল ইসলাম, আবুল হাসানাত, সহসাধারণ সম্পাদক টিটু নাহা, আশফাক জুয়েল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মনির হোসেন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক তোফায়েল হোসেন, আদর্শ সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জুম্মন হোসেন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. বসির। তাঁদের বেশির ভাগই কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের অনুসারী।

বিএনপির নেতাদের ভাষ্য, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে পুলিশ কোনো ধরনের কারণ ছাড়াই গায়েবি মামলা দিয়েছিল। ওই মামলায় জামিন চাইতে গেলে আদালতের বিচারক ওই ১৫ আসামির সবাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের রাণীরদিঘি এলাকায় আন্তর্ঘাতমূলক কার্যকলাপের পরিকল্পনা ও চেষ্টা করেন আসামিরা। এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে ২৭ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০০-২২০ জনের নামে মামলা করেন।

পুলিশ জানায়, এ মামলায় আসামিরা দীর্ঘ সময়ে আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেননি। আজ প্রথমবারের মতো ১৫ আসামি আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন।

বিবাদীপক্ষের আইনজীবী আ হ ম তাইফুর আলম বলেন, আদালতের বিচারক বলেছেন, মামলা হওয়ার পর আসামিরা দীর্ঘদিন কোনো আইনি প্রক্রিয়া অবলম্বন করেননি। এ অবস্থায় তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করা হলো। পরে তাঁদের কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।