কুষ্টিয়ায় কলেজশিক্ষকের হাত বিচ্ছিন্নের ঘটনায় মামলা হয়নি, আটকও নেই

কলেজশিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেন
ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ায় পূর্বশত্রুতার জেরে কলেজশিক্ষকের ডান হাত বিচ্ছিন্ন ও তাঁকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করার ঘটনায় থানায় এখনো মামলা হয়নি। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে আটকও করতে পারেনি পুলিশ।

আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম জানান, জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে।

গতকাল মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের বংশীতলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কলেজশিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেনের ডান হাত বিচ্ছিন্ন করে সন্ত্রাসীরা। তাঁকে কুপিয়ে জখমও করা হয়। রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

আহত শিক্ষকের ছেলে নাজমুস হাসিব মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির তিন সন্তান ও তাঁর স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে তাঁর বাবার আশ্রয়ে থাকেন। কিছুদিন আগে হঠাৎ রফিকুল এসে তাঁর সন্তানদের নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। কিন্তু সন্তানেরা যেতে চায়নি। এ নিয়ে বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের জেরেই রফিকুল স্থানীয় লিটন, জাফর, আরিফুল, সামাদ, নাজিমসহ আরও অনেককে নিয়ে বাবার ওপর হামলা চালিয়ে বাবার হাত বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে হাসিব আরও বলেন, বাবাকে নিয়ে গতকাল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেছেন। শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা ভালো। এলাকায় গিয়ে মামলা করবেন।

অভিযুক্ত লিটনের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামী এ ঘটনায় জড়িত নয়। তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। তোফাজ্জেলের একাধিক স্ত্রী আছে। মূলত ঘটনাটি তাঁর পরিবারকেন্দ্রিক।’

এদিকে এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গ্রামের মোড়ে মোড়ে পুলিশ টহল দিচ্ছে। কুষ্টিয়ার গোয়েন্দা পুলিশ ও কুমারখালী থানা-পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে।

কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশের ওসি নাসির উদ্দীন বলেন, জমিজমা ও পারিবারিক কয়েকটি বিষয় নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। দু–তিন দিনের মধ্যে জড়িত ব্যক্তিদের আটক করা সম্ভব হবে। প্রকৃত ঘটনাও উন্মোচন করা হবে।