কুষ্টিয়া মেডিকেলের ৪৮ চিকিৎসককে ৩ জেলার হাসপাতালে পদায়ন

বাংলাদেশ সরকার

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ থেকে একসঙ্গে ৪৮ চিকিৎসককে কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ জেনারেল হাসপাতালে সংযুক্তির প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জারি হওয়া প্রজ্ঞাপনে সংযুক্তিতে পদায়ন করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘কোভিড-১৯ অতিমারি সুষ্ঠুভাবে মোকাবিলা এবং জনসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিম্নে বর্ণিত বিসিএস (স্বাস্থ্য) কর্মকর্তাদের সংযুক্তিতে পদায়ন করা হলো।’ রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব জাকিয়া পারভীন এ প্রজ্ঞাপনে সই করেন। আগামীকাল বুধবারের মধ্যে তাঁদের পদায়নকৃত কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হয়।

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ দেলদার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘৪৮ চিকিৎসককে কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ জেনারেল হাসপাতালে সংযুক্ত করা হয়েছে। এটি জানার পর ঢাকায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মৌখিক কথা হয়েছে। কয়েকজন চিকিৎসক আছেন, যাঁরা আগে থেকেই কুষ্টিয়ার করোনা হাসপাতালে কাজ করছেন। তাঁদের অন্যত্র দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কুষ্টিয়া হাসপাতালে যে পরিমাণ রোগী ভর্তি, সেই তুলনায় চিকিৎসক কম। এ জন্য মেডিকেল থেকে চিকিৎসক অন্য জেলায় গেলে রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হবে।’

প্রসঙ্গত, করোনা ডেডিকেডেট ২৫০ শয্যার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালটি কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

কুষ্টিয়া মেডিকেল থেকে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা করোনা ডেডিকেটেড জেনারেল হাসপাতালে ২২ জন, মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ১৫ জন ও ঝিনাইদহ জেনারেল হাসপাতালে ১১ জন চিকিৎসককে সংযুক্তির আদেশ দেওয়া হয়েছে।
হঠাৎ এমন আদেশে মেডিকেল কলেজ ও জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলছেন, বর্তমানে কুষ্টিয়া জেলা দেশের অন্যতম ‘করোনা হটস্পটে’ পরিণত হয়েছে। এখানে গতকাল সর্বোচ্চ ৪৩২ জন করোনা পজিটিভ হয়েছেন। মারা গেছেন ১৭ জন। এক মাস ধরে করোনায় বিপর্যস্ত হাসপাতাল। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে অন্তত ৩০০ করোনা পজিটিভ রোগী ভর্তি আছেন। এত রোগীকে সেবা দেওয়ার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সব চিকিৎসককে সেখানে দেওয়া হলে বেশি ভালো হতো। কিন্তু তা না করে পাশের জেলায় দেওয়া হয়েছে। এতে কুষ্টিয়ার স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে।

করোনা ডেডিকেডেট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল মোমেন বলেন, ‘করোনার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আরও চিকিৎসক প্রয়োজন। আমরা যা চাই, তা পাই না। এ ছাড়া যাঁদের জেনারেল হাসপাতালে কাজের জন্য সংযুক্ত করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অনেকেই আগে থেকে এখানে কাজ করেন। শুধু নতুন কয়েকজনকে সংযুক্ত করা হয়েছে।’