কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এল মৃত ডলফিন

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে আসা মৃত ডলফিন
ছবি: প্রথম আলো

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে দুই কিলোমিটার পূর্ব দিকের জাতীয় উদ্যানসংলগ্ন এলাকায় একটি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে। আজ সোমবার সকালের জোয়ারে ডলফিনটি ভেসে এসে ওই স্থানে আটকা পড়ে বলে জানান স্থানীয় লোকজন। এরপর খবর পেয়ে ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্যরা গিয়ে সৈকতের বালুচর থেকে পরপয়েজ প্রজাতির মৃত ডলফিনটি উদ্ধার করেন।

কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্য কে এম বাচ্চু বলেন, ভেসে আসা ডলফিনটি সদ্য মৃত বলে মনে হয়েছে। এর শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

উপকূলের জীববৈচিত্র্য রক্ষা, মৎস্য ব্যবস্থাপনা এবং সমুদ্রের নীল অর্থনীতি নিয়ে কাজ করা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিসের ইকো ফিশ-২ প্রকল্পের পটুয়াখালীর সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, গত দুই বছরে কুয়াকাটা সৈকতে একের পর এক মৃত ডলফিন ভেসে আসছে। অথচ কোনো প্রতিকার হচ্ছে না। ডলফিনগুলোর মারা যাওয়ার সঠিক কারণ খুঁজে বের করতে উদ্যোগ নেওয়া দরকার। সমুদ্রে জীববৈচিত্র্যের নিরাপদ আবাসস্থল নিশ্চিত করাও জরুরি।

আরও পড়ুন

কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির দলনেতা রুম্মান ইমতিয়াজ বলেন, গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত কুয়াকাটা সৈকতে পাঁচটি মৃত ডলফিন ভেসে এল। এর আগে ২০২০ সালে ১৮টি এবং ২০২১ সালে ২৪টি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে এই সৈকতে। তা ছাড়া গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কুয়াকাটায় চারটি মৃত ওলিভ রেডলি কচ্ছপও ভেসে এসেছে। মৃত ডলফিনটি মাটিচাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

স্থানীয় কয়েকজন জেলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কলাপাড়া উপজেলার আলীপুর মৎস্য বন্দরের কয়েকজন অসাধু ট্রলারমালিক তাঁদের ট্রলারে ট্রলিং জাল ব্যবহার করে থাকেন। এসব জাল সমুদ্রে ফেলার জন্য ট্রলারে ক্রেনের মতো থাকে। ওই ক্রেন দিয়ে ট্রলারের দুই পাশে ট্রলিং জাল মাছ ধরার জন্য সাগরে ফেলা হয়। এসব ট্রলিং জালে সামুদ্রিক কচ্ছপ, ডলফিন, হাঙ্গর ও অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণী আটকা পড়ে। এগুলো বিক্রি নিষিদ্ধ হওয়ায় তা আবার সাগরেই ফেলে দিয়ে আসেন ট্রলারের জেলেরা। এসব প্রাণীর মধ্যে যেগুলো মরে যায়, সেগুলোই পরে তীরে ভেসে আসে।