কুয়াকাটা সৈকত পরিচ্ছন্ন রাখতে মানববন্ধন

কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতকে পরিচ্ছন্ন রাখতে মানববন্ধন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের জিরো পয়েন্ট এলাকায়প্রথম আলো

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত পরিচ্ছন্ন রাখতে মানববন্ধন করেছে পরিবেশবাদী সাংবাদিকদের সংগঠন মেরিন জার্নালিস্টস নেটওয়ার্ক। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

সমুদ্রসৈকতের পরিবেশ সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা সংগঠন সেভ আওয়ার সি, কুয়াকাটা প্রেসক্লাব, কুয়াকাটা পর্যটন পুলিশের সদস্যরা এ কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। এরপর তাঁরা সৈকতে আসা পর্যটকদের সঙ্গে নিয়ে কুয়াকাটা সৈকতের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মেরিন জার্নালিস্টস নেটওয়ার্কের সভাপতি মাহমুদ সোহেল। বক্তব্য দেন সেভ আওয়ার সির মহাসচিব মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক, পরিবেশবিষয়ক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শাহাদাৎ স্বপন, ইমাম হাসান সোহেল, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক কাজী সাঈদ প্রমুখ।

বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ যে কয়টা স্থানকে ঘিরে পরিচিতি অর্জন করেছে, তার মধ্যে কুয়াকাটা অন্যতম। অথচ অপরিচ্ছন্নতার কারণে এ পর্যটনকেন্দ্র এখন বাংলাদেশর মান ডুবানোর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মাহমুদ সোহেল, সভাপতি, মেরিন জার্নালিস্টস নেটওয়ার্ক

সেভ আওয়ার সির মহাসচিব মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক বলেন, সারা দেশে উপকূল অরক্ষিত থাকায় প্রতিবছর দুর্যোগে শত শত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বাস্তুহারা হয়। কিন্তু এ খাতে সরকারের অনেক বরাদ্দ থাকলেও তার যথাযথ বাস্তবায়নের অভাবে এখনো উপকূল নিরাপদ করা সম্ভব হয়নি। অথচ বরাদ্দের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে সমগ্র উপকূলে পরিকল্পিত বনায়ন করা গেলে উপকূলবর্তী মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি সফলভাবে সমুদ্রসম্পদ সংরক্ষণও করা যায়।

অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন ও প্লাস্টিকদূষণ সমুদ্রসৈকতের প্রতিবেশব্যবস্থাকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলে উল্লেখ করে এ পরিবেশবাদী নেতা বলেন, পর্যটনকেন্দ্রগুলোকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা গেলে দেশ যেমন বিশ্বের বুকে নতুন পরিচিতি পাবে, তেমনি তৈরি হবে সমুদ্র অর্থনীতির বড় সম্ভাবনাও।

পর্যটনকেন্দ্রগুলোকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা গেলে দেশ যেমন বিশ্বের বুকে নতুন পরিচিতি পাবে, তেমনি তৈরি হবে সমুদ্র অর্থনীতির বড় সম্ভাবনাও।

কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন বলেন, ‘সমুদ্রসৈকত সুরক্ষায় এমন কর্মসূচি পর্যটননির্ভর ব্যবসায়ীদের সচেতন করেছে। এর ফলে সৈকতের পরিবেশ ভালো রাখতে সবাই উদ্বুদ্ধ হবে। এখন থেকে আমরাও স্থানীয়দের নিয়ে কুয়াকাটা সৈকতকে পরিচ্ছন্ন করার কাজে তৎপর থাকব। কুয়াকাটা সৈকতকে দর্শনার্থী-পর্যটকদের কাছে ভালোরূপে তুলে ধরতে আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা থাকবে।’

মেরিন জার্নালিস্টস নেটওয়ার্কের সভাপতি মাহমুদ সোহেল বলেন, বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ যে কয়টা স্থানকে ঘিরে পরিচিতি অর্জন করেছে, তার মধ্যে কুয়াকাটা অন্যতম। অথচ অপরিচ্ছন্নতার কারণে এ পর্যটনকেন্দ্র এখন বাংলাদেশর মান ডুবানোর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুপরিচিত এ পর্যটনকেন্দ্রে পা ফেলতেই চোখে পড়ে নানা ধরনের ময়লা-আবর্জনা। এটা খুবই দুঃখজনক। কুয়াকাটা সৈকতকে পরিচ্ছন্ন রাখতে সবার প্রতি তিনি আহ্বান জানান।