কেশবপুরের দোকানে দোকানে গোলাপের গাছ

কেশবপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে স্থানীয় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিনা মূল্যে গোলাপগাছ দেওয়া হয়েছে
ছবি: প্রথম আলো

নতুন রূপে সেজেছে যশোরের কেশবপুর পৌরসভা। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সেলুন-পৌরসভার ছোট-বড় প্রায় সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে শোভা পাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন গোলাপের গাছ। সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য কেশবপুর পৌরসভা থেকে স্থানীয় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিনা মূল্যে গোলাপগাছ দেওয়া হয়েছে। কেশবপুর শহর যেন এক টুকরো গোলাপের বাগিচা।

আজ বৃহস্পতিবার কেশবপুর পৌরসভা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফুলগাছ বিতরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এই উদ্যোগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম। আজ সকাল থেকে গাড়িতে করে শহরের প্রধান সড়কের পাশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে একটি করে গোলাপগাছ দেওয়া হয়।

গোলাপগাছ পেয়ে সেলুন কর্মচারী উজ্জ্বল রায় বলেন, বিনা মূল্যে ফুলসহ গাছ পাওয়া বিরাট ব্যাপার। পৌরসভা থেকে পাওয়া গাছের নিয়মিত পরিচর্যা করবেন বলে জানান তিনি।

পৌরসভার বাগান মালি তরুণ দাস বলেন, তিন মাস ধরে গাছগুলো পরিচর্যা করে বড় করা হয়েছে। পৌর ভবনের ছাদে ফুলের টবে তিন হাজার গোলাপের গাছ লাগানো হয়েছিল। সব গাছে ফুল আসায় এখন সেগুলো সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা হচ্ছে। এখন পৌর ভবনের ছাদে বাগানবিলাস, গৌরী চরি, কৃষ্ণচূড়া তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ফুলগাছগুলো দোকানমালিকেরা সারা দিন দোকানের সামনে রাখবেন। রাতে দোকান বন্ধ করে যাওয়ার সময় গাছ দোকানের ভেতর তুলে রাখবেন। পরদিন সকালে দোকান খুলে আবার গাছ দোকানের সামনে রাখবেন।

আজ সকাল থেকে গাড়িতে করে শহরের প্রধান সড়কের পাশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে গোলাপগাছ দেওয়া হয়েছে
ছবি: প্রথম আলো

পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, আপাতত শহরের প্রধান সড়কের দুই ধারে গোলাপগাছ দেওয়া হচ্ছে। পরে শহরের অন্য সড়কের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও ফুলগাছ দেওয়া হবে। মূলত শহরের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, কেশবপুরে মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি। এখানে দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকেরা আসেন। শহরটাকে যদি সুন্দর করে না সাজানো যায়, তাহলে কীভাবে হবে! বাইরে থেকে কেউ এলেই এখন গোলাপগাছ চোখে পড়বে।

এর আগেও শহরের বিভিন্ন স্থানে পৌর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বিভিন্ন জাতের ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে। আবার শীত এলেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় ফুলের বাগান তৈরি করা হয়। বিশেষ করে শহরের হরিহর নদের পাড়ে রক্তকরবী উন্মুক্ত মঞ্চে প্রতিবছরই পৌর কর্তৃপক্ষ দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান গড়ে তোলে।